সোমবার সল্টলেকের গার্লস হস্টেলের দখল নেন প্রেসিডেন্সির আন্দোলনকারীরা। আন্দোলনকারী এক আবাসিক কল্পপ্রিয়া মাহাত বলেন, ‘‘কর্তৃপক্ষের কাছে নানা ভাবে আমাদের দাবিদাওয়া তুলে ধরতে চেয়েছি। অথচ তাঁদের তরফে আমাদের ন্যূনতম আশ্বাসও দেওয়া হয়নি। জেলা এবং মফস্সলের মেয়েদের স্বার্থে তাই বাধ্য হয়েই আমাদের এই পদক্ষেপ করতে হয়েছে।’’
—নিজস্ব চিত্র।
হিন্দু হস্টেলে ভর্তি প্রক্রিয়া-সহ নিজেদের একাধিক দাবিদাওয়া পূরণ না হওয়া পর্যন্ত আন্দোলন চলবেই। সোমবার আবারও হুঁশিয়ারি দিলেন প্রেসিডেন্সির আন্দোলনকারী পড়ুয়ারা। তাঁদের অভিযোগ, অফলাইন ক্লাস চালু হওয়ার মাসখানেক পরেও পড়ুয়ারা হস্টেল পাননি। পাশাপাশি, হিন্দু হস্টেলে চূড়ান্ত অব্যবস্থার অভিযোগও করেছেন তাঁরা।
সোমবার সল্টলেকের গার্লস হস্টেলের দখল নেন প্রেসিডেন্সির আন্দোলনকারীরা। আন্দোলনকারী এক আবাসিক কল্পপ্রিয়া মাহাত বলেন, ‘‘কর্তৃপক্ষের কাছে নানা ভাবে আমাদের দাবিদাওয়া তুলে ধরতে চেয়েছি। অথচ তাঁদের তরফে আমাদের ন্যূনতম আশ্বাসও দেওয়া হয়নি। জেলা এবং মফস্সলের মেয়েদের স্বার্থে তাই বাধ্য হয়েই আমাদের এই পদক্ষেপ করতে হয়েছে।’’
প্রসঙ্গত, মাসখানেক ধরে অবস্থান-বিক্ষোভের পর ডিন অরুণকুমার মাইতিকে ঘেরাও করেন আন্দোলনকারীরা। এর আগে দু’দিনের ঘেরাওয়ের পর গত বুধবার হিন্দু হস্টেলও দখল করেছিলেন তাঁরা। যদিও হিন্দু হস্টেল দখলে এলেও চূড়ান্ত অব্যবস্থার মধ্যেই আবাসিকদের থাকতে হচ্ছে বলে দাবি আন্দোলনকারীদের। হিন্দু হস্টেলের আবাসিকদের তরফে শাহরিয়ার আলম মণ্ডল বলেন, ‘‘হস্টেলের অপরিষ্কার-অপরিচ্ছন্ন ঘরগুলিকে বাসযোগ্য করে তোলার চেষ্টা করছি আমরা। ব্যবহারের অযোগ্য শৌচাগারগুলিও আমাদের মাথাব্যথার অন্যতম কারণ।’’
হস্টেলে ভর্তি প্রক্রিয়া শুরু করা-সহ থাকাখাওয়ার যথাযথ ব্যবস্থার মতো দাবিদাওয়াগুলি পূরণ না হওয়া পর্যন্ত এই আন্দোলন অব্যাহত থাকবে বলে জানান পড়ুয়ারা।