প্রেসিডেন্সি বিশ্ববিদ্যালয়। ফাইল ছবি।
অনলাইনে ছাত্র সংসদ নির্বাচন করাতে আগ্রহী প্রেসিডেন্সি বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র সংগঠনগুলিকে এমনই প্রস্তাব দিয়েছেন তাঁরা।
সূত্রের খবর, মনোনয়নপত্র জমা দেওয়া থেকে ভোটদান— সবটাই অনলাইনে করার পক্ষপাতী বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ।ক্যাম্পাসে এসে এবং ক্যাম্পাসের বাইরে থেকেও পড়ুয়াদের ভোট দেওয়ার সুযোগ থাকবে। কর্তৃপক্ষের দাবি, এতে বাড়বে ভোট দেওয়ার হার। কিন্তু এরই মধ্যে বিষয়টি নিয়ে প্রেসিডেন্সিতে বিতর্ক ছড়িয়েছে। এই পদ্ধতি নিয়ে ছাত্র সংগঠনগুলির মধ্যে থেকে বিরোধিতা উঠে এসেছে।
এসএফআইয়ের দেবনীল পাল শুক্রবার জানান, ক্যাম্পাসে শেষ পর্যন্ত যে ছাত্রদেরই অধিকার, অনলাইনে নির্বাচন হলে তাকেখর্ব করা হয়। অনলাইন ভোটে স্বচ্ছতার অভাব থাকে। মোটকত ভোট পড়ল, সেই হিসাবে গরমিল হওয়ার আশঙ্কা। প্রশ্ন থেকে যাচ্ছে ভোট গণনা নিয়েও।দেবনীলের আরও বক্তব্য,অনলাইনে জোর করে ভোট দিতে বাধ্য করানোর মতো ঘটনা ঘটতে পারে। ক্যাম্পাসের বাইরে তেমন ঘটার আশঙ্কা বেশি। এর সঙ্গে প্রযুক্তিগত সমস্যায় ভোট না দেওয়ার ঘটনা ঘটতে পারে। অপর ছাত্র সংগঠন ইন্ডিপেন্ডেন্টস কনসলিডেশন (আইসি)-এর তরফে অহনকর্মকারও বলেন, ‘‘এই ভাবে ভোট করা হলে স্বচ্ছতা থাকবে না।’’
উল্লেখ্য, ছাত্র সংসদ নির্বাচনের দাবিতে এই বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র সংগঠনগুলি ইতিমধ্যেই আন্দোলনে নেমেছে। দীর্ঘদিন ধরে রাজ্যের কলেজ-বিশ্ববিদ্যালয়গুলিতে ছাত্রভোট হয় না। প্রেসিডেন্সিতে শেষ বার এই ভোট হয়েছে ২০১৯ সালে। ডিন অব স্টুডেন্টস অরুণ মাইতি জানিয়েছেন, তাঁরা নির্বাচনকরার জন্য সম্পূর্ণ ভাবে প্রস্তুত। রাজ্য সরকার ভোট করার নির্দেশ দিলেই এই ব্যাপারে উদ্যোগী হবেন তাঁরা। দিন কয়েক আগে শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু জানিয়েছেন, ছাত্রভোট হবেই। তিনি এ বিষয়ে আলোচনার জন্য মুখ্যমন্ত্রীর কাছে সময় চেয়েছেন।
অবিলম্বে ছাত্র সংসদ নির্বাচনের দাবি-সহ চার দফা দাবিতে প্রেসিডেন্সি বিশ্ববিদ্যালয়ের এসএফআই ইউনিট মঙ্গলবার থেকে অবস্থান চালাচ্ছে। এ দিন এই শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের ২০৬তম প্রতিষ্ঠাতৃ দিবসে প্রাক্তনীদের থেকে এসএফআইয়ের সদস্যেরা তাঁদের দাবির পক্ষে সই সংগ্রহ করেন। সঙ্গে ক্যাম্পাসে মিছিলও করেন। এসএফআইয়ের প্রেসিডেন্সি ইউনিটের সম্পাদক ঋষভ সাহা জানান, উপাচার্য ক্যাম্পাসে সচরাচর আসেন না। এ দিন এসেছিলেন। অবস্থানরত পড়ুয়ারা আগেই ডিন অব স্টুডেন্টসকে জানিয়েছিলেন, তাঁরা তাঁদের দাবিদাওয়া নিয়ে উপাচার্যের সঙ্গে কথা বলতে চান। ঋষভ বলেন,‘‘কিন্তু এ দিনও তাঁর সঙ্গে কথাবলার সুযোগ আমরা পাইনি।উপাচার্য মূল অনুষ্ঠান শেষে ডিরোজ়িয়ো হলের পাশের দরজা দিয়ে বেরিয়ে যান।’’