—প্রতীকী চিত্র।
রাজ্যে প্রসূতি মৃত্যুর হার কমাতে ও তা নিয়ন্ত্রণে রাখতে বিভিন্ন পদক্ষেপ করেছে স্বাস্থ্য দফতর। পরিস্থিতির বিশ্লেষণ করতে গিয়ে উঠে আসছে, সরকারির পাশাপাশি বেসরকারি হাসপাতালেও অহেতুক সিজ়ারের কারণেই প্রসূতির মৃত্যু বেশি হচ্ছে। এই প্রবণতায় পিছিয়ে নেই গ্রামও। সে সবে নজর রাখতে সম্প্রতি প্রসূতি-মৃত্যুর অডিট শুরু করেছে স্বাস্থ্য দফতর।
সূত্রের খবর, চলতি মাসের শুরু থেকে সরকারি হাসপাতাল ও শহরের ২৫টির মতো বেসরকারি হাসপাতাল, নার্সিংহোম পরিদর্শন করেছেন স্বাস্থ্যকর্তারা। সেখানেই খামতি ধরা পড়েছে। যেগুলি প্রসূতি মৃত্যুর কারণ বলে মনে করছেন তাঁরা। ওই সব হাসপাতালকে অপ্রয়োজনে সিজ়ার কমানো ও সিজ়ার পরবর্তী শুশ্রূষা নিয়ে পরামর্শ মেনে চলতে বলেছেন তাঁরা।
রাজ্যের স্বাস্থ্য অধিকর্তা সিদ্ধার্থ নিয়োগী বলেন, ‘‘অডিট মানে শাস্তি নয়। অপ্রয়োজনীয় সিজ়ার বন্ধ করে প্রসূতি মৃত্যুর হার কমানোই উদ্দেশ্য। তাই সকলকে সতর্ক করতে অডিট শুরু হয়েছে।’’ মাস তিনেক আগে এক বৈঠকে জেলার মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিকদের এ নিয়ে সতর্ক করা হয়েছিল। জুন থেকে প্রসবের দৈনিক তথ্য মাতৃ-মা পোর্টালে তুলছে সরকারি ও বেসরকারি হাসপাতাল। সে সব খতিয়ে দেখছে স্বাস্থ্য দফতর।