ফাইল চিত্র।
আগামী সপ্তাহেই বাঙালির সব চেয়ে বড় উৎসব দুর্গাপুজো। করোনার ধাক্কায় এ বারও কিছু বিধিনিষেধ থাকছে, তবে পুজো বন্ধ হচ্ছে না। বিদ্যুৎ দফতরের দাবি, বাড়তি চাহিদা-সহ সার্বিক বিদ্যুৎ পরিস্থিতি সামলাতে প্রস্তুত রাজ্য। তবে উৎসবের মরসুমের শুরুতেই দেশ জুড়ে কয়লার সঙ্কটের জেরে পরিষেবা বিঘ্নিত হওয়ার আশঙ্কা দেখা দিয়েছে। যদিও রাজ্য সেই আশঙ্কা উড়িয়ে দাবি করেছে, পশ্চিমবঙ্গের বিদ্যুৎ-ক্ষেত্রে এমন কোনও সঙ্কট নেই। বরং বাড়তি কয়লা যেমন আসবে, তেমনই তা মজুতও রাখা হয়েছে।
মাসখানেক আগে পুজোর প্রস্তুতি নিয়ে সংশ্লিষ্ট সব সংস্থার সঙ্গে বৈঠকের পরে বিদ্যুৎমন্ত্রী অরূপ বিশ্বাস জানিয়েছিলেন, এ বার পুজো কিছু বেড়েছে। বৃহস্পতিবার তিনি জানান, মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নির্দেশে একাদশী পর্যন্ত বিদ্যুৎ ভবনে শীর্ষ কর্তাদের নজরদারিতে ২৪ ঘণ্টার কন্ট্রোল রুম চালু থাকছে। তিনি নিজেও এর মধ্যে রোজ অন্তত এক বার সেখানে যাবেন। সমস্ত জেলায় দফতরের সদর কার্যালয়েও কন্ট্রোল রুম চালু থাকবে।
এ দিন দুপুর ১টা পর্যন্ত রাজ্য বিদ্যুৎ বণ্টন সংস্থা ও সিইএসসি-র এলাকা মিলিয়ে ৪২ হাজার ৬০৮টি পুজোর (৪১৫.৫ মেগাওয়াটের) আবেদন মেনে বিদ্যুতের সংযোগ দেওয়া হয়েছে। আরও কিছু আবাসন বা সাধারণ পুজোর তরফেও আর্জি জানানোর সম্ভাবনা রয়েছে।
পুজোর মধ্যে যে হেতু ভারী বৃষ্টির পূর্বাভাস রয়েছে, তাই সমস্ত বিদ্যুৎ কেন্দ্র এবং সাব-স্টেশনে সুরক্ষার ব্যবস্থা করা হয়েছে বলে জানান মন্ত্রী। তাঁর কথায়, ‘‘সবাই যখন পুজো নিয়ে ব্যস্ত থাকবেন, তখন দফতর ও সংস্থাগুলির কর্মী-অফিসারেরা দিনরাত পরিষেবা দেবেন।’’ তিনি জানান, কোথাও সমস্যা হলে বিদ্যুৎ দফতরের কন্ট্রোল রুম (৮৯০০৭৯৩৫০৩/৪) অথবা সিইএসসি-র কন্ট্রোল রুমে (৯৮৩১০৭৯৬৬৬/৮৩৭০০) জানানো যাবে। কয়লার সঙ্কটের প্রশ্নে মন্ত্রী বলেন, ‘‘আমরা সব ব্যবস্থা রেখেছি।’’ রাজ্য বিদ্যুৎ উন্নয়ন নিগমের এমডি পি বি সেলিম জানান, এমনিতে প্রতিদিন রেলের ১৫টি রেকে কয়লার জোগান দেওয়া হয়। পুজোর সময়ে দৈনিক ১৮টি রেকে কয়লার জোগান আসবে। এক-একটি রেকে ৩৫০০ টন করে কয়লা আসে। এর মধ্যে নিগমের নিজস্ব পাঁচটি খনি থেকেই ১২-১৩টি রেক আসবে। এ ছাড়া, স্বাভাবিক নিয়মেই ১০-১৪ দিনের কয়েক লক্ষ টন কয়লা মজুত রাখা হয়েছে।