প্রতীকী ছবি।
ময়দানে শারীরচর্চা করছেন প্রাতর্ভ্রমণকারীরা। আর তাঁদের সঙ্গে মিশেই সাদা পোশাকে শারীরচর্চায় ব্যস্ত পুলিশকর্মীরাও। সেই সঙ্গে গোটা এলাকার নিরাপত্তার দিকেও নজর রাখছেন তাঁরা।
পুলিশ সূত্রের খবর, ময়দান এবং ভিক্টোরিয়া মেমোরিয়াল এলাকায় সকালের দিকে গেলে এখন তাই প্রাতর্ভ্রমণকারীদের সঙ্গে সঙ্গে দেখা যাচ্ছে পুলিশকর্মীদেরও। প্রাতর্ভ্রমণ করার ফাঁকে ওই পুলিশকর্মীদের উপরেই রয়েছে গোটা এলাকার নিরাপত্তার ভার। তাই দুষ্কৃতীদের ঠেকাতে দু’-তিন জন করে ছোট ছোট দলে ভাগ হয়ে তাঁরা মিশে যাচ্ছেন প্রাতর্ভ্রমণকারীদের সঙ্গে।
লালবাজার জানিয়েছে, মাসখানেক আগে ভোরের ময়দান এলাকায় হাঁটতে গিয়ে হামলার মুখে পড়তে হয়েছিল বেশ কয়েক জনকে। ঘটে ছিনতাইও। সেই সব ঘটনার পরে যাতে আতঙ্ক না ছড়ায় এবং প্রাতর্ভ্রমণকারীদের নিরাপত্তা বিঘ্নিত না হয়, সে জন্য বিভিন্ন পার্ক ও রাস্তায় পুলিশি নিরাপত্তা ও টহলদারি বাড়ানোর নির্দেশ দিয়েছিলেন পুলিশকর্তারা। এমনকি, ভোরের ময়দানের নিরাপত্তা ব্যবস্থা খতিয়ে দেখতে সাইকেল চালিয়ে সেখানে হাজির হয়ে গিয়েছিলেন খোদ পুলিশ কমিশনার ও গোয়েন্দা-প্রধান। তার পরেই ওই এলাকার নিরাপত্তা বাড়ানো হয়। আর সেই কারণেই প্রাতর্ভ্রমণকারী হিসেবে মোতায়েন করা হয় পুলিশকর্মীদের।
পুলিশ সূত্রের খবর, সকালের ময়দানে নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকছে পুলিশের তিনটি দল। এ ছাড়া, গোটা ময়দান জুড়ে চারটি পুলিশ-পিকেট তৈরি করা হয়েছে। ভোর সাড়ে ৫টা থেকে সকাল সাড়ে ৭টা পর্যন্ত যত ক্ষণ প্রাতর্ভ্রমণকারীরা ময়দানে থাকেন, তত ক্ষণ এক জন পুলিশ অফিসারের নেতৃত্বে তিন জন করে পুলিশকর্মী উপস্থিত থাকছেন পুলিশ-পিকেটে। খিদিরপুর রোড, রেড রোড এবং মেয়ো রোডের সংযোগস্থল ও উট্রাম রোডে তৈরি হয়েছে ওই পুলিশ-পিকেট। এ ছাড়াও থাকছে একটি করে মোটরবাইক এবং পুলিশের ভ্যান। ময়দান থানার তরফে ওসি বা অতিরিক্ত ওসি প্রতিদিন ওই সময়ে ময়দানে উপস্থিত থাকছেন।
লালবাজারের একাংশ জানিয়েছে, ময়দানের এই নিরাপত্তা ব্যবস্থায় খুশি পুলিশকর্তারাও। গত সোমবার পুলিশ কমিশনারের অপরাধ দমন বৈঠকে গোয়েন্দা-প্রধান এ নিয়ে সন্তোষ প্রকাশ করেন। একই সঙ্গে শহরের বাকি যে সব এলাকার বিভিন্ন পার্কে ও রাস্তায় প্রাতর্ভ্রমণকারীরা হাঁটতে যান, সেখানেও ওই ব্যবস্থা চালু করা যায় কি না, তা-ও খতিয়ে দেখতে বলা হয়েছে।