প্রতীকী ছবি।
আজ, বৃহস্পতিবার দেশ জুড়ে সাধারণ ধর্মঘটের ডাক দিয়েছে বাম ও কংগ্রেসের ট্রেড ইউনিয়নগুলি। কেন্দ্রীয় সরকারের শ্রম ও কৃষি আইন-সহ একাধিক নীতির প্রতিবাদে এবং সাত দফা দাবিতে এই ধর্মঘট। যদিও আজ, মহানগরের জনজীবন সচল রাখতে পর্যাপ্ত পুলিশ মোতায়েন করছে লালবাজার।
তার প্রস্তুতি শুরু হয়ে গিয়েছে বুধবার রাত থেকেই। পুরসভার চারটি গ্যারাজ-সহ ছ’জায়গায় অতিরিক্ত পুলিশ বাহিনী নিয়োগ করা হয়েছে ওই রাতে। চালু হয়েছে পুলিশের অতিরিক্ত একটি কন্ট্রোল রুমও। পুলিশকর্তারা জানিয়েছেন, জনপরিষেবা দিতে পুরসভার গাড়ি যাতে বিনা বাধায় যাতায়াত করতে পারে, তাই এই বন্দোবস্ত। বিশৃঙ্খলা রুখতে রাত থেকেই টহলদারি ভ্যানকে শহরের বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ জায়গায় মোতায়েন করা হয়েছে।
কলকাতা পুলিশের এক শীর্ষ কর্তা বলেন, “ধর্মঘটের নামে কোনও অশান্তি ছড়াতে দেওয়া হবে না। এ জন্য শহর জুড়ে পর্যাপ্ত পুলিশি ব্যবস্থা থাকছে।” লালবাজার জানিয়েছে, ধর্মঘটের সমর্থক এবং বিরোধীরা যাতে কোনও সংঘর্ষে জড়িয়ে না পড়েন, বা জোর করে কোথাও যাতে দোকানপাট বন্ধ না করা হয় সে সব দেখতে ৪০৬টি জায়গায় পুলিশ পিকেট করা হয়েছে। সেগুলিতে আজ সকাল সাড়ে পাঁচটা থেকেই পুলিশ থাকবে। শহরের ৪৫টি বাজারে এক জন অফিসারের নেতৃত্বে চার জন পুলিশকর্মী থাকবেন। মেট্রো স্টেশন, বাস ডিপোর সামনেও পুলিশ পিকেট থাকছে। মোট সাড়ে চার হাজার পুলিশকে রাস্তায় নামানো হচ্ছে। পরিস্থিতি সামলাতে ডিভিশনাল ডিসি ছাড়া ১৪ জন ডিসি পদমর্যাদার অফিসার এ দিন পথে থাকবেন।
লালবাজার সূত্রের খবর, প্রতিটি থানায় ছ’জন পুলিশকর্মীর একটি দল রিজ়ার্ভে রাখা হয়েছে। যাঁরা অবস্থা বুঝে দ্রুত ঘটনাস্থলে পৌঁছে যাবেন। গুরুত্বপূর্ণ জায়গায় থাকছে ২৬টি ডিভিশনাল মোবাইল ভ্যান, র্যাপিড সিটি পেট্রোলের ৩১টি গাড়ি।লালবাজারের হিসেব মতো, শহরের ৭১টি জায়গায় ধর্মঘট সমর্থকেরা রাস্তায় অবরোধ বা বিক্ষোভ দেখাতে পারেন। সে সব-সহ বিভিন্ন সরকারি-বেসরকারি অফিস চত্বর, বাস ডিপোয় অতিরিক্ত পুলিশি ব্যবস্থা থাকছে।
এক পুলিশকর্তা জানাচ্ছেন, এ দিনের জন্য প্রতিটি ডিভিশনে ডিসির অধীনে অতিরিক্ত বাহিনী মজুত থাকবে। এ ছাড়া গোলমাল থামাতে দক্ষ রোবোকপ ও রায়ট কন্ট্রোল ফোর্স বাহিনীকে পিটিএসে প্রস্তুত থাকার জন্যও বলা হয়েছে।