Durga Puja

বেহাল বহু রাস্তা, পুজোর আগেই সারাতে অনুরোধ পুলিশের

শহরের বহু জায়গাতেই রাস্তার উপরিভাগ থেকে সরে গিয়েছে পিচের আস্তরণ। তৈরি হয়েছে খানাখন্দ। পুজোর আগেই যাতে ওই সব রাস্তা সারানো হয়, তার জন্য কলকাতা পুলিশের তরফে অনুরোধ জানানো হয়েছে পুরসভা-সহ বিভিন্ন দফতরকে।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ৩০ সেপ্টেম্বর ২০২০ ০৩:২৭
Share:

প্রতীকী ছবি

প্রথমে লকডাউন এবং পরে লাগাতার বৃষ্টি। এই দুইয়ের জেরে শহরের বিভিন্ন রাস্তার রক্ষণাবেক্ষণ হয়নি বললেই চলে। পুজোর মুখে সেই সব বেহাল রাস্তাই অস্বস্তিতে ফেলেছে প্রশাসনকে।

Advertisement

শহরের বহু জায়গাতেই রাস্তার উপরিভাগ থেকে সরে গিয়েছে পিচের আস্তরণ। তৈরি হয়েছে খানাখন্দ। পুজোর আগেই যাতে ওই সব রাস্তা সারানো হয়, তার জন্য কলকাতা পুলিশের তরফে অনুরোধ জানানো হয়েছে পুরসভা-সহ বিভিন্ন দফতরকে। সূত্রের খবর, মঙ্গলবার কলকাতা পুলিশের বিভিন্ন ডিভিশনের ডেপুটি কমিশনারদের সঙ্গে পুজো নিয়ে সমন্বয় বৈঠক ছিল কলকাতা পুরসভা, বন্দর, দমকল, কেএমডিএ, পূর্ত দফতর ও সিইএসসি-র আধিকারিকদের। সেখানেই পুলিশের তরফে শহরের একশোরও বেশি বেহাল রাস্তা পুজোর আগে দ্রুত সারিয়ে ফেলতে অনুরোধ করা হয় পুরসভা, কেএমডিএ এবং পূর্ত দফতরকে। শহরের বিভিন্ন রাস্তার দেখভালের দায়িত্বে ওই সব সংস্থাই রয়েছে।

পুলিশ সূত্রের খবর, ইএম বাইপাস, চিত্তরঞ্জন অ্যাভিনিউ, এসপি মুখার্জি রোড, ডিপিএস রোড, ঠাকুরপুকুরের এমজি রোড-সহ শহরের অসংখ্য রাস্তায় ছোট-বড় খানাখন্দ তৈরি হয়েছে। স্থানীয় ট্র্যাফিক গার্ড এবং থানার তরফে সেই বেহাল রাস্তার কথা জানানো হয়েছে লালবাজারকে। লালবাজারের কর্তারা এ দিন সেই তথ্য তুলে দেন পুরসভা, কেএমডিএ এবং পূর্ত দফতরের কর্তাদের হাতে। পুরসভার তরফে জানানো হয়েছে, শহরের বেশির ভাগ রাস্তায় সারাইয়ের কাজ চলছে। পুজোর আগে বাকি কাজ হয়ে যাবে বলেই আশ্বস্ত করেছে তারা।

Advertisement

পুলিশ সূত্রের খবর, এ বার করোনার মধ্যেই পুজো করার অনুমতি দেওয়া হয়েছে ১৩ দফা বিধিনিষেধ সমেত। পুজোকর্তাদের বলা হয়েছে, মণ্ডপে পর্যাপ্ত পরিমাণ স্যানিটাইজ়ার রাখতে হবে। তবে স্যানিটাইজ়ার দাহ্য তরল বলে এ ব্যাপারে সতর্কও থাকতে বলা হয়েছে পুজোকর্তাদের। এ দিনের বৈঠকে পুলিশের পক্ষ থেকে দমকলকে অনুরোধ করা হয়েছে, তাদের যে নির্দেশিকা আছে, সেখানেও স্যানিটাইজ়ার রাখাটা বাধ্যতামূলক করা হোক। তাতে রাজি হয়েছেন দমকলকর্তারা। সেই সঙ্গে পুরসভা ও দমকলকে বলা হয়েছে, তারা যেন পুজোমণ্ডপগুলিকে দিনে একাধিক বার জীবাণুমুক্ত করে। এর পাশাপাশি, কোথাও আগুন লাগলে দ্রুত কী ভাবে সেখানে পৌঁছনো যায়, তা নিয়েও আলোচনা হয়েছে। পুজোর ক’দিনের জন্য শহরের বেশ কিছু এলাকায় অস্থায়ী দমকল কেন্দ্র তৈরি হতে পারে বলেও খবর।

এ দিকে, শহরে কন্টেনমেন্ট জ়োনের সংখ্যা কমে গেলেও চার জায়গায় এখনও তা রয়েছে। ওই সমস্ত এলাকায় পুজো করার অনুমতি দেওয়া হয়নি। তবে পুজোর আগেই যদি কোনও এলাকা কন্টেনমেন্ট তালিকা থেকে মুক্ত হয়, তা হলে সেখানে পুজো করা যাবে কি না, তা নিয়ে অবশ্য এখনও কোনও সিদ্ধান্ত নেয়নি প্রশাসন। আবার পুজোর অনুমতি রয়েছে, এমন কোনও এলাকা যদি পুজোর আগেই কন্টেনমেন্ট তালিকায় ঢুকে যায়, তা হলে কী হবে, তা নিয়েও রয়েছে ধোঁয়াশা। এক পুলিশকর্তা জানান, এ সব নিয়ে এ দিন আলোচনা হয়নি। সরকারের নির্দেশিকা মেনেই সবাইকে পুজো করতে হবে।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement