Death

ধারের টাকা ফেরত না পেয়েই কি নিজেকে শেষ করেন প্রৌঢ়, বৌবাজারের ঘটনায় মামলা করল পুলিশই

গত মঙ্গলবার বৌবাজার থানা এলাকার লেনিন সরণির একটি হোটেল থেকে প্রশান্ত বন্দ্যোপাধ্যায় (৫১) নামে ওই প্রৌঢ়ের ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার করা হয়। তাঁর বাড়ি ঝাড়খণ্ডের ধানবাদে।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

কলকাতা শেষ আপডেট: ১৯ মে ২০২৩ ০৭:২১
Share:

পুলিশ এসে দরজা ভেঙে দেহ উদ্ধার করে। প্রতীকী ছবি।

মধ্য কলকাতার একটি হোটেল থেকে এক ব্যক্তির ঝুলন্ত দেহ উদ্ধারের ঘটনায় তাঁর পরিবারেরই তিন সদস্যের বিরুদ্ধে আত্মহত্যায় প্ররোচনা দেওয়ার মামলা রুজু করল পুলিশ। সূত্রের খবর, স্বতঃপ্রণোদিত ভাবে ওই মামলা রুজু করা হয়েছে।

Advertisement

পুলিশ জানিয়েছে, গত মঙ্গলবার বৌবাজার থানা এলাকার লেনিন সরণির একটি হোটেল থেকে প্রশান্ত বন্দ্যোপাধ্যায় (৫১) নামে ওই প্রৌঢ়ের ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার করা হয়। তাঁর বাড়ি ঝাড়খণ্ডের ধানবাদে। ওই হোটেলে এক সপ্তাহ আগে এসে উঠেছিলেন প্রশান্ত। মঙ্গলবার সকালে হোটেলের কর্মীরা ডেকেও তাঁর সাড়া পাননি। শেষে খবর পেয়ে পুলিশ এসে দরজা ভেঙে দেহ উদ্ধার করে। ওই ঘর থেকে একটি চিরকুটও উদ্ধার করেছেন বৌবাজার থানার তদন্তকারীরা।

প্রাথমিক তদন্তে পুলিশ জানিয়েছে, প্রশান্তের দেহের ময়না তদন্তের প্রাথমিক রিপোর্টে তিনি আত্মঘাতী হয়েছেন বলেই উল্লেখ করা হয়েছে। খবর পেয়ে ওই ব্যক্তির পরিবারের সদস্যেরা কলকাতায় আসেন। কিন্তু তাঁরা কোনও অভিযোগ দায়ের করতে চাননি। তা হলে পুলিশ কেন আত্মহত্যায় প্ররোচনা দেওয়ার মামলা রুজু করল?

Advertisement

তদন্তকারীরা জানান, হোটেলের ঘরে মেলা চিরকুট থেকে জানা গিয়েছে, অনেককে টাকা ধার দিয়েছিলেন প্রশান্ত। এর জন্য বাজারে তাঁর বহু টাকা দেনা হয়ে গিয়েছিল। যাঁদের তিনি টাকা ধার দিয়েছিলেন, তাঁদের মধ্যে ছিলেন কয়েক জন আত্মীয়ও। পুলিশের দাবি, ওই চিরকুটে কয়েক জন আত্মীয়ের নাম লিখে গিয়েছেন প্রশান্ত। তাই পরিবারের তরফে অভিযোগ জানানো না হলেও পুলিশ নিজে থেকে ওই চিরকুটের উপরে ভিত্তি করে মামলা রুজু করেছে।

এক তদন্তকারী জানান, চিরকুটে যাঁদের নাম রয়েছে, তাঁদের ডেকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে। রেকর্ড করা হবে তাঁদের বয়ানও।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement