প্রতীকী ছবি।
বার্ধক্য ভাতার টাকা তছরুপের অভিযোগে ২০১০ সালে চিৎপুর থানায় প্রতারণার মামলা দায়ের হয়েছিল কলকাতা পুরসভার ছ’নম্বর ওয়ার্ডের তৎকালীন কংগ্রেস কাউন্সিলর সুমন সিংহের বিরুদ্ধে। দীর্ঘ ১২ বছর পরে সুমনের বিরুদ্ধে চার্জশিট দাখিল করল পুলিশ। সুমন বর্তমানে ওই ওয়ার্ডেরই তৃণমূল কংগ্রেসের কাউন্সিলর। গত ২১ মার্চ শিয়ালদহ আদালতে কলকাতা পুলিশের প্রতারণা দমন শাখা তাঁর বিরুদ্ধে চার্জশিট পেশ করেছে।
সুমনের বিরুদ্ধে অভিযোগ, তিনি মৃত ব্যক্তিদের জীবিত দেখিয়ে তাঁদের নামে বার্ধক্য ভাতার টাকা হাতিয়েছিলেন। প্রথমে চিৎপুর থানায় অভিযোগ দায়ের হয়। ঘটনার সময়ে পুলিশ সুমনের বিরুদ্ধে কার্যকর ব্যবস্থা না নেওয়ায় সে সময়ে হাই কোর্টে জনস্বার্থ মামলা দায়ের হয়। হাই কোর্টের নির্দেশে বিশেষ তদন্তকারী দল (সিট)-ও গঠিত হয়। কিন্তু তার পরেও কাউন্সিলরের বিরুদ্ধে পুলিশ কোনও পদক্ষেপ না নেওয়ায় কাশীপুরের বাসিন্দা, সুনীল রাই নামে এক ব্যক্তি ২০১৫ সালে হাই কোর্টে জনস্বার্থ মামলা দায়ের করেন। সুনীল বলেন, ‘‘সেই সময়ে হাই কোর্টে আবেদন করায় পুলিশের তরফে যুক্তি দেখানো হয় যে, কলকাতা পুরসভার তরফে কাউন্সিলরের বিরুদ্ধে চার্জশিট দাখিলের অনুমতি না মেলায় তা পেশ করা যায়নি। পরে হাই কোর্ট সুপ্রিম কোর্টের একটি মামলার উদাহরণ টেনে জানায়, কাউন্সিলরের বিরুদ্ধে চার্জশিট পেশ করতে অন্য কারও অনুমতির দরকার নেই।’’ এই মামলার মূল সাক্ষীও সুনীল। তাঁর দাবি, ‘‘পুলিশি নিষ্ক্রিয়তার অভিযোগে ২০১৬ সালেও হাই কোর্টে জনস্বার্থ মামলা দায়ের করি। তারই জেরে ২১ মার্চ পুলিশ কাউন্সিলরের বিরুদ্ধে চার্জশিট পেশ করে।’’
এই প্রসঙ্গে সুমন বলেন, ‘‘বহু বছর আগের ঘটনা। আমায় পুরোপুরি ফাঁসানো হয়েছে। যা বলার আদালতে বলব।’’ কলকাতা পুরসভার বিজেপি কাউন্সিলর সজল ঘোষের অভিযোগ, ‘‘শাসক দলের কাউন্সিলর হওয়ায় অপরাধ করেও দিনের পর দিন ছাড় পাচ্ছেন সুমন।’’