Junior Doctors' Movement

দুই কার্নিভালের ‘টক্কর’! কয়েক ঘণ্টা আগে কেমন পরিস্থিতি রেড রোড এবং রানি রাসমণি অ্যাভিনিউয়ে

মঙ্গলে কলকাতায় দু’টি কার্নিভাল রয়েছে। একটি রেড রোডে পুজোর কার্নিভাল। অন্যটি রানি রাসমণি রোডে দ্রোহের কার্নিভাল। কয়েক ঘণ্টা পরেই প্রায় একই সময়ে দু’টি কার্নিভাল শুরু হওয়ার কথা।

Advertisement

আনন্দবাজার অনলাইন সংবাদদাতা

কলকাতা শেষ আপডেট: ১৫ অক্টোবর ২০২৪ ১২:৪৮
Share:

(বাঁ দিকে) মঙ্গলবার পুজোর কার্নিভাল শুরুর আগে রেড রোডের কাছে দুর্গাপ্রতিমা এবং দ্রোহের কার্নিভাল ঠেকাতে পুলিশি তৎপরতা (ডান দিকে)। ছবি: সংগৃহীত।

মঙ্গলে কলকাতায় জোড়া কার্নিভাল। একটি পুজোর কার্নিভাল। রেড রোডে। অন্যটি দ্রোহের কার্নিভাল। রানি রাসমণি রোডে। প্রথমটি সরকারি কর্মসূচি। দ্বিতীয়টি প্রতিবাদের, আন্দোলনের। দ্বিতীয় কার্নিভালের জন্য কোনও পুলিশি অনুমতি নেই। বরং দ্রোহের কার্নিভাল ঠেকাতে মধ্য কলকাতায় ৯ জায়গায় জমায়েত নিষিদ্ধ করেছে পুলিশ। রানি রাসমণি রোড এবং সংলগ্ন কিছু জায়গায় জারি করা হয়েছে ১৬৩ ধারা। আর কয়েক ঘণ্টা পরেই পিঠোপিঠি দু’টি কার্নিভাল। পুজোর কার্নিভাল বিকেল সাড়ে চারটে থেকে। দ্রোহের কার্নিভালের জন্য জমায়েত বিকেল ৪টে থেকে।

Advertisement

পুজোর কার্নিভালের জন্য দুপুর থেকেই প্রতিমা নিয়ে বিভিন্ন বড় পুজো কমিটিগুলির ট্যাবলো এসে ভিড় করেছে রেড রোড সংলগ্ন এলাকায়। কার্নিভালে অংশগ্রহণের আগে শেষ মুহূর্তের গোছগাছ চলছে ট্যাবলোগুলিতে। পুজোর কার্নিভাল শুরুর ঠিক আগের মুহূর্তে আরও সেজে উঠছে রেড রোড চত্বর। পুলিশির দায়িত্বপ্রাপ্ত আধিকারিকেরা ঘুরে দেখছেন সেখানকার নিরাপত্তা ব্যবস্থা। মোতায়েন রয়েছে প্রচুর পুলিশকর্মী।

মঙ্গলবার দুই কার্নিভালের আগে পুলিশি তৎপরতা। ছবি: সংগৃহীত।

অন্য দিকে দ্রোহের কার্নিভালকে রুখতেও পুলিশি তৎপরতা চোখে পড়ার মতো। রেড রোডের মতোই ধর্মতলার মোড় থেকে শুরু করে রেড রোড, রানি রাসমণি রোডের বিভিন্ন জায়গায় মোতায়েন রয়েছে পুলিশ। গোটা এলাকায় নিরাপত্তার কড়াকড়ি। রেড রোড এবং রানি রাসমণি রোডের একটি করে লেন ঘিরে ফেলা হয়েছে ব্যারিকেডে দিয়ে। রানি রাসমণি রোড ধরে ধর্মতলা থেকে নেতাজি মূর্তির দিকে ডান পাশের লেনে সারি সারি বাস দাঁড়িয়ে পড়েছে। বাসচালকদের দাবি, পুলিশ বাসগুলি এগোতে দেওয়া হচ্ছে না।

Advertisement

মঙ্গলবার কার্নিভালের আগে কড়া পুলিশি নিরাপত্তা। রানি রাসমণি রোডে এক মানুষ সমান উঁচু ব্যারিকেড বসাচ্ছে কলকাতা পুলিশ। ছবি: সংগৃহীত।

নেতাজি মূর্তির একেবারে সামনেই বসানো হয়েছে প্রায় ৯ ফুটের ব্যারিকেড। এর আগে জুনিয়র ডাক্তারদের লালবাজার অভিযানের সময়েও এই ধরনের উঁচু ব্যারিকেড বসাতে দেখা গিয়েছিল পুলিশকে। মঙ্গলে যখন পুজোর কার্নিভাল এবং দ্রোহের কার্নিভালের ‘টক্কর’ নিয়ে চর্চা হচ্ছে। এ বার জয়েন্ট প্ল্যাটফর্ম অফ ডক্টর্‌স-এর ডাকে দ্রোহের কার্নিভালের আগেও একই রকম প্রস্তুতি পুলিশের। এক মানুষ সমান উঁচু ব্যারিকডগুলিকে গার্ডরেলের সঙ্গে শিকল দিয়ে বাঁধা হচ্ছে। কোথাও কোথাও বাঁশের কাঠামো বেঁধেও তৈরি করা হয়েছে ব্যারিকেড।

পুলিশি এই ব্যবস্থাপনা প্রসঙ্গে ধর্মতলায় ‘আমরণ অনশনরত’ পরিচয় পণ্ডা বলেন, “এ তো পুরনো পন্থা। যে কোনও শাসকদল আন্দোলন আটকাতে এটাই করে থাকে। বিভিন্ন ভাবে দ্রোহের কার্নিভাল আটকানোর চেষ্টা করা হচ্ছে। আমরা তো অবরোধ করিনি। প্রশাসনই পুরো এলাকাটা আটকে দিচ্ছে ব‍্যারিকেড করে। যাঁরা ধর্মতলায় বিভিন্ন কাজে আসেন, তাঁদের অসুবিধা হচ্ছে। এত কিছু না করে ১০ দফা দাবি মেনে নিলেই হয়! তবে এ সব করে আন্দোলন আটকানো যাবে না। দ্রোহের কার্নিভালও বন্ধ করা যাবে না।”

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement