ফাইল ছবি
পুলিশকর্মীদের সোশ্যাল মিডিয়া থেকে দূরে থাকার পরামর্শ দিলেন রাজ্য ও কলকাতা পুলিশের সমন্বয়কারী অফিসার শান্তনু সিংহ বিশ্বাস। শুক্রবার হাওড়া গ্রামীণ জেলা পুলিশ ওয়েলফেয়ার কমিটি আয়োজিত স্বাস্থ্য শিবিরে উপস্থিত হয়ে সিভিক ভলান্টিয়ার থেকে শুরু করে অন্য পুলিশকর্মীদের উদ্দেশে তিনি বলেন, “বর্তমানে সোশ্যাল মিডিয়ার যুগে মানুষ বিভিন্ন বিষয়ে জড়িয়ে পড়ছেন। যতটা পারবেন, এ সব থেকে দূরে থাকবেন। কোনও কিছু না জেনে সোশ্যাল মিডিয়ায় পোস্ট বা শেয়ার করবেন না।”
শান্তনুর মতে, সমাজে এক জন পুলিশকর্মীর দায়িত্ব অনেক বেশি। তাই তাঁদের সতর্ক থাকতে হবে সব সময়ে। তিনি আরও জানান, সিভিক ভলান্টিয়ার ও ভিলেজ পুলিশকর্মীদের আস্তে আস্তে যোগ্যতা অনুযায়ী কনস্টেবল পদে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে। সিভিক ভলান্টিয়ারদের ৬০ বছর বয়স পর্যন্ত চাকরি নিশ্চিত করা হয়েছে। আবার রাজ্য পুলিশ ওয়েলফেয়ার কমিটির আহ্বায়ক বিজিতাশ্ব রাউত বলেন, “পুলিশ হয়ে এমন কোনও কাজ করবেন না, যাতে সমাজের কাছে পুলিশের মাথাই হেঁট হয়।”
এ দিন উলুবেড়িয়ার একটি রিসর্টে ওই স্বাস্থ্য শিবিরের আয়োজন করা হয়েছিল। অনুষ্ঠানের আয়োজক তথা রাজ্য কমিটির সদস্য প্রদ্যোত মণ্ডল জানান, ৫৫০ জন পুলিশকর্মীর বিভিন্ন ধরনের রক্ত পরীক্ষা, ইসিজি, পালমোনারি ফাংশন টেস্ট করা হয়েছে। হৃদ্রোগ, বক্ষরোগ, অস্থি, স্ত্রী-রোগ ও চোখের চিকিৎসকেরা ওই কর্মীদের পরীক্ষা করেন। শিবিরে উপস্থিত, এসএসকেএমের ফিজ়িক্যাল মেডিসিন অ্যান্ড রিহ্যাবিলিটেশন বিভাগের প্রধান চিকিৎসক রাজেশ প্রামাণিক বলেন, “পুলিশ সুস্থ থাকলে আমরাও সুরক্ষিত। কিন্তু পুলিশকর্মীরা অতিরিক্ত পরিশ্রম করেন, আবার নিয়মিত পরিবারকেও কাছে পান না। ফলে শারীরিক ও মানসিক একটা চাপ তৈরি হয়। তাই তাঁদের শারীরিক সুস্থতার দিকে নজর রাখতে হবে।”
তাঁর মতে, নিয়মিত প্রয়োজনীয় পরীক্ষা করানোর পাশাপাশি স্ট্রেস ম্যানেজমেন্ট-ও এক জন পুলিশকর্মীর জন্য জরুরি। জেলার পুলিশকর্মীদের ছেলেমেয়েরা, যারা মাধ্যমিক এবং উচ্চ মাধ্যমিকে সাফল্য অর্জন করেছে, শিবিরে তাদের সম্মানিত করা হয়। গ্রামীণ জেলা ট্র্যাফিক পুলিশের হাতে ট্র্যাফিক সংক্রান্ত জিনিসপত্র তুলে দেওয়া হয়। হাওড়া গ্রামীণের পুলিশ সুপার স্বাতী ভাঙ্গালিয়া, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার অলকানন্দা ভাওয়াল ও ইন্দ্রজিৎ সরকার-সহ অন্যান্য কর্তারাও উপস্থিত ছিলেন।