ছবি: সংগৃহীত
দু’হাজারি জাল নোট দিয়ে অচল পুরনো টাকার নোট নিচ্ছিল চক্রীরা। কিন্তু ৩১ ডিসেম্বরের পর সাধারণ মানুষের কছে অচল নোট কাগজের টুকরো ছাড়া অন্য কিছু নয়। তা হলে জাল নোটের কারবারিদের কাছে সেই ‘মূল্যহীন’ কাগজের কী দাম ছিল?
খিদিরপুরে জাল নোট উদ্ধারের ঘটনায় গোয়েন্দারা রিজার্ভ ব্যাঙ্ক ও একটি রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাঙ্কের অন্দরে অসাধু চক্রের সন্ধান পেয়েছেন। গোয়েন্দাদের সন্দেহ, ব্যাঙ্কের ওই লোকজন অচল নোট জমা নিয়ে চালু নোট দিচ্ছিল মোটা কমিশন বা ‘বখরার’ বিনিময়ে।
আরবিআই-এর নির্দেশিকানুযায়ী, যে সব অনাবাসী ভারতীয় ২০১৬-র ৯ নভেম্বর থেকে ৩০ ডিসেম্বর পর্যন্ত বিদেশে ছিলেন, তাঁরা এক-এক জন সর্বোচ্চ ২৫ হাজার টাকার পুরনো নোট বদলাতে পারবেন এ বছরের ৩০ জুন অবধি। সাধারণ ভারতীয় যাঁরা ওই সময়ে দেশের বাইরে ছিলেন, তাঁরাও ওই সুযোগ পাবেন ৩১ মার্চ পর্যন্ত। তাঁদের ক্ষেত্রে টাকার অঙ্কের সর্বাধিক সীমা নেই। গোয়েন্দাদের মনে হচ্ছে, ব্যাঙ্কের কেউ কেউ এই সুযোগ নিয়েই পুরনো নোট বদলে দিচ্ছিল।
খিদিরপুরে বাজেয়াপ্ত জাল নোট বাগনানে ষষ্ঠীতলায় একটি সাইবার কাফের ডিজিটাল প্রিন্টার থেকে ছাপা হয়। গোয়েন্দাদের হিসেব মতো, এক-একটি নোট ছাপাতে খরচ হয়েছে প্রায় তিন টাকা। খিদিরপুরে বাজেয়াপ্ত জাল দু’হাজারি নোট ছাপাতে সাড়ে ৮০০০ টাকার বেশি খরচ হয়। অচল নোট নিয়ে জাল নোট গছানোর তালে ছিল চক্রটি। গোয়েন্দা সূত্রে খবর, চক্রের সন্দেহভাজন পান্ডা মানোয়ার মোল্লা জানায়, রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাঙ্কের এক অফিসার অচল নোট জমা নিয়ে নতুন চালু নোট দিতেন কমিশনের বিনিময়ে। সেই ব্যক্তির খোঁজ চলছে।