ধৃত সালিম মহম্মদ
পাসপোর্ট রয়েছে তার। তা সত্ত্বেও অবৈধ ভাবে সীমান্ত পেরিয়ে ব্যবসায়ী পরিচয়ে তিন মাস ধরে কলকাতায় ঘাঁটি গেড়েছিল সে। অভিযোগ, ওই সময়ে মধ্য কলকাতার বিভিন্ন বাজার এলাকা থেকে অন্তত ৪০টি ব্যাগ চুরিও করেছিল ওই বাংলাদেশি নাগরিক।
পুলিশ জানিয়েছে, দীর্ঘ দিন ধরে ওত পেতে থাকার পরে রবিবার সন্ধ্যায় সালিম মহম্মদ নামে ওই বাংলাদেশি চোরকে পাকড়াও করেছে হেয়ার স্ট্রিট থানা। জেরায় ৪০টি চুরির কথা সালিম নিজেই কবুল করেছে বলে পুলিশের দাবি। এক পুলিশকর্তা বলেন, ‘‘পাসপোর্ট থাকা সত্ত্বেও চোরাপথে এ দেশে ঢুকেছিল সে। ওই পাসপোর্ট দেখিয়েই ব্যবসায়ী পরিচয় দিয়ে গত তিন মাস ধরে মধ্য কলকাতার কয়েকটি হোটেলে ঘুরেফিরে থাকত সালিম।’’
বেশ কিছু দিন ধরেই বড়বাজার, পোস্তা, নিউ মার্কেট, হেয়ার স্ট্রিট এলাকা থেকে পরপর ব্যাগ চুরির অভিযোগ পাচ্ছিল পুলিশ। তদন্তে পুলিশ দেখে, চুরির কায়দায় মিল রয়েছে। তার পরেই সিসি ক্যামেরার ফুটেজ ধরে তদন্ত শুরু হয়। তাতে ‘চোরের’ ছবিও মেলে। পুলিশের খবর, ওই ছবিতেই দেখা গিয়েছিল, অভিযুক্ত ব্যক্তি নিউ মার্কেট এলাকায় এসে ভিড়ে মিশে যাচ্ছেন। আশপাশের কোনও এলাকায় তার ছবি মিলছে না। সন্দেহবশত, পুলিশ নিউ মার্কেট এলাকার বিভিন্ন হোটেলে খোঁজ করায় জানতে পারে, ওই ব্যক্তি কয়েকটি হোটেলে ছিল।
পুলিশের দাবি, রবিবার সন্ধ্যায় দু’জন পুলিশকর্মী নিউ মার্কেট এলাকায় মোটবাহকের বেশে অপেক্ষা করছিলেন। বাকিরা আশপাশে ছড়িয়ে ছিটিয়ে ছিলেন। সালিম হোটেল থেকে বেরিয়ে রাস্তায় আসতেই তাকে পাকড়াও করা হয়।
পুলিশ জানিয়েছে, সন্ধ্যার পরে সালিম একটি ব্যাগ নিয়ে বিভিন্ন বাজারে ঘুরে বেড়াত। তার পরে কোনও অসাবধানী ক্রেতা বা দোকানিকে দেখে নিজের ব্যাগটি রেখে তাঁর ব্যাগটি তুলে দ্রুত গতিতে পালাত। সম্প্রতি হেয়ার স্ট্রিট থানার যে ঘটনার সূত্র ধরে সালিম ধরা পড়েছিল তাতে দেখা গিয়েছে, এক দোকানি তাঁর ব্যাগটি পাশে রেখে ঝাঁপ বন্ধ করছিলেন। সেই সময়ে সালিম নিজের ব্যাগ রেখে দোকানির ব্যাগ তুলে চম্পট দেয়।
পুলিশ বলছে, বাংলাদেশ থেকে পাসপোর্ট নিয়ে ঢোকা ব্যক্তির এমন চুরির ঘটনা নিউ মার্কেট এলাকায় আগেও ঘটেছে। একটি রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাঙ্কের লকার ভাঙা এবং কয়েকটি দোকানের শাটার ভেঙে চুরির ঘটনাতেও বাংলাদেশি চোরদের পাকড়াও করা হয়েছিল।