গত মঙ্গলবার রাতে বেলঘরিয়া এক্সপ্রেসওয়ে থেকে অজয়-সহ পাঁচ জনকে গ্রেফতার করেছিলেন গোয়েন্দারা। প্রতীকী ছবি।
প্রায় দু’কোটি টাকা মূল্যের মাদক পাচারের চাঁই, ধৃত অজয় পাল সোনা পাচারেও জড়িত। অজয়কে জেরা করার পরে রাজ্য পুলিশের এসটিএফের দাবি, প্রায় দশ বছর ধরে উত্তর ২৪ পরগনা জুড়ে ওই মাদকের সাম্রাজ্য গড়ে তুলেছিল সে। পাশাপাশি, বাংলাদেশ থেকে বড়বাজারে চলত তার সোনার কারবার। চোরাপথে বাংলাদেশ থেকে সোনা এনে অজয় পৌঁছে দিত কলকাতায়। ২০২১ সালে ওই সোনার কারবারের জন্য চন্দননগর পুলিশ কমিশনারেটের হাতে গ্রেফতারও হয়েছিল সে।
গত মঙ্গলবার রাতে বেলঘরিয়া এক্সপ্রেসওয়ে থেকে প্রায় দু’কোটি টাকা মূল্যের হেরোইন বাজেয়াপ্ত করেছিলেন এসটিএফের গোয়েন্দারা। সেই সঙ্গে বাজেয়াপ্ত করা হয় দু’টি গাড়ি। ওই অভিযানে অজয়-সহ পাঁচ জনকে গ্রেফতার করেছিলেন গোয়েন্দারা। বর্তমানে তারা এসটিএফের হেফাজতে রয়েছে।
তদন্তকারীরা জানান, বসিরহাটে অজয়ের বাড়ি থাকলেও সে থাকছিল নিউ টাউনে এক কোটি টাকা মূল্যের একটি ফ্ল্যাটে। ব্যারাকপুরে অজয়ের বিলাসবহুল স্পা-এর সন্ধান মিলেছে। দিঘাতেও তার একটি হোটেলের খোঁজ মিলেছে বলে গোয়েন্দারা জানান। বারাসতে অজয়ের একটি পরিবহণ সংস্থা রয়েছে। যার অধীনে রয়েছে ১২টি সুপার লাক্সারি বাস। সেগুলি রাজ্যের বিভিন্ন রুটে চলাচল করে।
এসটিএফ সূত্রের খবর, উত্তর-পূর্ব ভারত থেকে আসা মাদক দালালের মাধ্যমে নিজের হেফাজতে নিত অজয়। দালালেরা ওই মাদক বাংলাদেশে পৌঁছে দিত। অজয়ের সহযোগী ছিল বনগাঁর আর এক মাদক কারবারি গৌতম। তার খোঁজ শুরু করেছেন গোয়েন্দারা। তদন্তকারীরা জানতে পেরেছেন, ৩ মে ডানকুনির কাছ থেকে যে এক কোটি টাকার মাদক বাজেয়াপ্ত হয়েছিল, সেটিও অজয়ের মাদক। ওই সময়ে দু’জনকে গ্রেফতার করা হয়েছিল। মোট সাত জন ধৃতকে একসঙ্গে বসিয়ে জেরা করতেই অজয়ের সম্পত্তির সন্ধান মেলে।