প্রতীকী ছবি।
ছ’নম্বর জাতীয় সড়কে দাঁড়িয়ে থাকা লরি সরাতে গিয়ে চালক বা খালাসির খোঁজ পাচ্ছিল না পুলিশ। বেশ কিছু ক্ষণ অপেক্ষার পরে লরির গায়ে লেখা ফোন নম্বরে যোগাযোগ করলে পুলিশ জানতে পারে, বৃহস্পতিবার ওই লরিটিই চুরি গিয়েছিল!
শুক্রবার ঘটনাটি ঘটেছে বালিতে। সমস্ত প্রমাণ-সহ লরির মালিককে নিশ্চিন্দা থানায় যোগাযোগ করতে বলেছে পুলিশ। সূত্রের খবর, প্রতি দিনের মতো এ দিনও সকালে জয়পুর বিলের কাছে সার্ভিস রোডে ‘নো পার্কিংয়ে’ দাঁড়িয়ে থাকা লরি এবং ট্রাক সরাতে গিয়েছিলেন বালি ট্র্যাফিক গার্ডের কর্মীরা। পুলিশের তাড়া খেয়ে অন্য সব গাড়ি চলে গেলেও, দশ চাকার লরিটি বন্ধ অবস্থায় পড়ে ছিল। আশপাশে সেটির চালক বা খালাসির দেখা মেলেনি। তখনই কর্তব্যরত এএসআই লরির কেবিনে লেখা ফোন নম্বরে যোগাযোগ করেন।
পুলিশ জানায়, ফোনের অপর প্রান্তে থাকা ব্যক্তি প্রথমে সব শুনে হকচকিয়ে যান। হুগলির বাসিন্দা ওই পরিবহণ ব্যবসায়ী গাড়ির নম্বর ও বর্ণনা শুনে জানান, তিনিই লরিটির মালিক। গত বৃহস্পতিবার মাঝরাস্তা থেকে সেটি চুরি গিয়েছিল। সব জেনে ট্র্যাফিক গার্ডের তরফে নিশ্চিন্দা থানার হাতে লরিটি তুলে দেওয়া হয়। কে বা কারা লরিটি চুরি করল, আর সেটিকে কেনই বা জাতীয় সড়কের সার্ভিস রোডে এনে রাখল— সে সব খতিয়ে দেখছে পুলিশ। তবে তাদের অনুমান, জাতীয় সড়কের ধারে নিরিবিলি ওই জায়গায় লরিটি রেখে কোথাও গিয়েছিল চোর। তখনই ট্র্যাফিক গার্ডের কর্মীরা এসে অবৈধ পার্কিং সরাতে শুরু করেন।