—প্রতীকী চিত্র।
সোদপুরের অভিজাত আবাসন থেকে ত্রিপুরার ব্যবসায়ীকে অপহরণের পরিকল্পনা করা হয়েছিল গত মাসের মাঝামাঝি। সেই মতো ওই আবাসনে ফ্ল্যাট ভাড়া নেয় অভিযুক্তেরা। সিআইডি সূত্রের খবর, ধৃত তৃণমূল পুরপ্রতিনিধি মিলন সর্দারের নির্দেশেই ওই ফ্ল্যাট ভাড়া নেওয়া হয় এক ধৃতের স্ত্রীর নামে। ২১ অগস্ট থেকে সেখানে থাকতেও শুরু করে তিন অভিযুক্ত। যাদের এক জনের বাড়ি শিলিগুড়ি, অন্য জনের সন্দেশখালিতে। তাদের কাজ ছিল আবাসনে এক পরিচিতের বাড়িতে আসা ত্রিপুরার ব্যবসায়ী দেবব্রত দে-র উপরে নজর রাখা। মিলনকে ওই ব্যবসায়ী সম্পর্কে তথ্য দিয়েছিলেন ত্রিপুরার এক বাসিন্দা, যাঁর সঙ্গে অপহৃতের যোগাযোগ রয়েছে।
উল্লেখ্য, চলতি মাসের গোড়ায় দেবব্রত ওই আবাসনে এক পরিচিতের কাছে আসেন। অভিযোগ, সেখানে পার্কিং লট থেকে চার যুবক তাঁকে অপহরণ করে বারাসতে নিয়ে যায়। তবে মুক্তিপণ দেওয়ার আগেই দেবব্রতকে উদ্ধার করে সিআইডি। ঘটনায় পুলিশ গাড়িচালক-সহ সাত জনকে ধরে। পরে তাদের জেরা করেই গ্রেফতার করা হয় মিলনকে।
প্রাথমিক তদন্তে ধৃতেরা দাবি করেছে, মিলনের নির্দেশে ওই কাজ করেছে তারা। আগেও দেবব্রতকে তারা অপহরণ করেছিল। তবে অপহরণের জন্য কত টাকা তাদের দেওয়া হবে, তা নিয়ে ধৃতেরা কিছু বলেনি বলে সিআইডির দাবি। গোয়েন্দাদের দাবি, অপহরণের জন্য মিলনের নির্দেশে বাইরে থেকে লোক ভাড়া করা হয়। এমনকি, ত্রিপুরার ওই ব্যক্তির সঙ্গে মিলনই নিয়মিত যোগাযোগ রাখতেন। এক পুলিশ কর্তা জানান, মিলনের নেতৃত্বে ওই চক্রটি আরও কোনও অপরাধ করেছিল কিনা, জানার চেষ্টা চলছে। ত্রিপুরার ওই বাসিন্দার খোঁজে ত্রিপুরা যাচ্ছে সিআইডির দল।