প্রতীকী ছবি।
স্কুটারের চাকায় হাওয়া ভরাকে কেন্দ্র করে বচসার জেরে খুন হতে হয়েছিল কসবার বাসিন্দা এক প্রৌঢ়কে। ওই ঘটনায় ধৃত তিন জনের বিরুদ্ধে সোমবার আদালতে চার্জশিট জমা দিল কসবা থানার পুলিশ।
গত ১২ জুন দুপুরে কসবা রথতলায় নিজের সাইকেলের দোকানে বিশ্রাম নিচ্ছিলেন রাজডাঙার বাসিন্দা রামপ্রসাদ হালদার (৫৭)। সে দিন রামপ্রসাদবাবুর সঙ্গে ছিলেন তাঁর ছেলে আশিস হালদার। দুপুর ১টা নাগাদ তিন যুবক ওই দোকানে এসে তাদের স্কুটারে হাওয়া ভরে দিতে বলে। আশিস তাদের জানান, দুপুরে দোকান বন্ধ। বিকেলের দিকে আসতে হবে। অভিযোগ, ওই তিন জন আশিসের সঙ্গে এ নিয়ে তুমুল তর্কাতর্কি জুড়ে দেয়। এর পরে তাঁকে গালাগালি দিয়ে চলে যায়।
এর ঘণ্টা দুয়েক পরে ওই তিন জন আরও এক জনকে সঙ্গে নিয়ে সেই দোকানে চড়াও হয়। দু’পক্ষের আরও এক প্রস্ত বচসার পরে ওই যুবকেরা মারধর করতে শুরু করে। আশিস পুলিশের কাছে লিখিত অভিযোগে জানিয়েছিলেন, চার জন মিলে তাঁর বাবাকে হাতুড়ি ও রড দিয়ে আঘাত করে। তাঁকে বাঁচাতে গিয়ে আশিসও জখম হন। এর পরে স্থানীয় বাসিন্দারা রামপ্রসাদকে হাসপাতালে নিয়ে গেলে তাঁকে মৃত ঘোষণা করা হয়।
গত ১৮ জুন কসবা থানার পুলিশ এই ঘটনায় অভিযুক্ত মলয় পাত্রকে গ্রেফতার করে। এর পরে একে একে আশিস বারিক, সুমন হালদার-সহ আরও এক জনকে ধরা হয়। পরে জানা যায়, সে নাবালক। ধৃত তিন যুবক এখন জেল হেফাজতে আছে। নাবালকটিকে হোমে রাখা হয়েছে। তদন্তকারীরা জানান, ধৃতদের মধ্যে সুমন হালদারের টি আই প্যারেড বাকি রয়েছে। আগামী ২৫ সেপ্টেম্বর তার টি আই প্যারেড হবে। তার পরেই তার বিরুদ্ধে অতিরিক্ত চার্জশিট জমা দেবে পুলিশ। এ দিন দুই যুবক ও এক নাবালকের বিরুদ্ধে চার্জশিট জমা দেন কসবা থানার তদন্তকারী আধিকারিকেরা।
গ্রেফতারের ৮৯ দিনের মাথায় বাবার খুনে অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে তদন্তকারীরা আদালতে চার্জশিট জমা দেওয়ায় খুশি ছেলে আশিস। তিনি বলেন, ‘‘স্কুটারের চাকায় হাওড়া ভরার মতো সামান্য ঘটনাকে কেন্দ্র করে আমার বাবাকে যারা খুন করেছে, তাদের কঠোর শাস্তি হোক, এটাই চাইছি। ছোট্ট ওই সাইকেলের দোকানের উপরে নির্ভর করেই আমাদের সংসার চলে। আমার বাবার মৃত্যুর ঘটনায় দোষীদের কাছ থেকে যাতে ক্ষতিপূরণ আদায় করা হয়, তার জন্য আদালতে আবেদন জানাব।’’