দুর্ঘটনা ঘটানো জাগুয়ার সংস্থার গাড়িটির গতি ছিল অত্যন্ত বেশি অনুমান তদন্তকারীদের। ফাইল ছবি
বেপরোয়া গতিতে ওভারটেক করতে গিয়ে প্রথমে ধাক্কা একটি অ্যাপ-ক্যাবে, তার পরে দাঁড়িয়ে থাকা একটি গাড়িতে। সব শেষে নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে পিষে দেওয়া এক মহিলা পথচারীকে। গত রবিবার বালিগঞ্জ সার্কুলার রোডে এই ভয়াবহ দুর্ঘটনায় প্রাথমিক ভাবে তদন্তকারীদের অনুমান, দুর্ঘটনা ঘটানো জাগুয়ার সংস্থার গাড়িটির গতি ছিল অত্যন্ত বেশি। এ বার গাড়িটির ঠিক গতি জানতে সেটির নির্মাণ সংস্থার দ্বারস্থ হচ্ছেন ট্র্যাফিক পুলিশের তদন্তকারীরা। তাঁদের বক্তব্য, গাড়িটির ‘ইভেন্ট ডেটা রেকর্ডার’ পরীক্ষা করলেই সেই তথ্য জানা যাবে।
লালবাজারের এক কর্তা জানান, এই ‘ইভেন্ট ডেটা রেকর্ডার’ অনেকটা বিমানের ব্ল্যাক বক্সের মতো। দুর্ঘটনার সময়ে গাড়ির গতি কত ছিল, চালক সিটবেল্ট বেঁধেছিলেন কি না, দুর্ঘটনার আগে ডেটা রেকর্ডার সতর্কবাতা দিয়েছিল কি না— সেই সব কিছু জানা যাবে ওই রেকর্ডার থেকে। ইতিমধ্যেই ফরেন্সিক বিশেষজ্ঞেরা সেটি বাজেয়াপ্ত করেছেন।
পুলিশ সূত্রের খবর, সাধারণত কলকাতায় বা ভারতে এই রেকর্ডার পরীক্ষা করা সম্ভব নয়। তাই লালবাজারের তরফে সেটি পরীক্ষার জন্য গাড়ির নির্মাণ সংস্থার প্রতিনিধিদের সঙ্গে যোগাযোগ করা হয়েছে। চলতি সপ্তাহেই তাঁদের হাতে ইভেন্ট ডেটা রেকর্ডারটি তুলে দেওয়া হবে। নির্মাণ সংস্থার প্রতিনিধিরা যন্ত্রটি পাঠাবেন ইংল্যান্ডে। সেখানে সেটি পরীক্ষা করবেন গাড়ির নির্মাতারা। সেই রিপোর্ট তাঁরা পাঠাবেন লালবাজারের তদন্তকারীদের।
অন্য দিকে, বৃহস্পতিবার ওই দুর্ঘটনার পুনর্নির্মাণ করে পুলিশ। অভিযুক্ত গাড়িচালক সুয়াস পরসরামপুরিয়াকে নিয়ে গিয়ে ঘটনার পুনর্নির্মাণ করা হয়। তদন্তকারীরা জানিয়েছেন, গাড়িতে সুয়াসের দিদি ছাড়াও ছিলেন তাঁর দুই বন্ধু। ওই দু’জন বসেছিলেন পিছনের সিটে। দুর্ঘটনার পরেই তাঁরা পালান। মঙ্গল এবং বুধবার সুয়াসের ওই দুই বন্ধুকে লালবাজারে ডেকে জিজ্ঞাসাবাদ করেন তদন্তকারীরা। এক পুলিশকর্তা জানান, জিজ্ঞাসাবাদে তাঁরা ঘটনার আগে ও পরের সব কিছুই জানিয়েছেন। তাঁদের বয়ান নথিভুক্ত করা হবে।