কলকাতার নগরপাল বিনীত গোয়েল। —ফাইল চিত্র।
সাম্প্রতিক সময়ে রাজ্য জুড়ে গণপিটুনির একাধিক ঘটনা ঘটেছে। যা থেকে বাদ যায়নি খাস কলকাতাও। শহরের বুকে একটি ছাত্রাবাসে মোবাইল চোর সন্দেহে এক যুবককে পিটিয়ে মারার অভিযোগ উঠেছে। এই পরিস্থিতিতে গণপিটুনির প্রবণতা রুখতে পাড়ায় পাড়ায় স্থানীয় বাসিন্দাদের উপরে ভরসা করতে চাইছে কলকাতা পুলিশ। তারই প্রথম ধাপ হিসাবে বিভিন্ন পাড়ার বাসিন্দাদের সঙ্গে বৈঠক করার জন্য থানাগুলিকে পরামর্শ দিয়েছেন কলকাতার নগরপাল বিনীত গোয়েল। শুক্রবার কলকাতা পুলিশের অপরাধ দমন বৈঠকে এই নির্দেশ দেন তিনি। সূত্রের খবর, ওই বৈঠকে স্থানীয় বিশিষ্টজনেদের যাতে রাখা হয়, সে কথাও বলেছেন নগরপাল। পাশাপাশি, বাসস্ট্যান্ড থেকে শুরু করে জনবহুল জায়গায় কেউ যাতে আইন নিজের হাতে তুলে না নেন, তার জন্য মাইকিং করতে বলা হয়েছে স্থানীয় থানাকে।
লালবাজার সূত্রের খবর, কলকাতা পুলিশের শীর্ষ কর্তারা গণপিটুনি রুখতে কঠোর হচ্ছেন। তার জন্য কী কী ব্যবস্থা নিতে হবে, সেই সংক্রান্ত একটি নির্দেশাবলী ইতিমধ্যেই পাঠিয়ে দেওয়া হয়েছে প্রতিটি থানায়। তাতে বলা হয়েছে, চুরি এবং ডাকাতির মতো ঘটনা ঘটলে থানাগুলিকে দ্রুত ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে। অভিযুক্তকে দ্রুত চিহ্নিত করে করতে হবে আইনানুগ পদক্ষেপ। আরও বলা হয়েছে, কারও প্রতি সন্দেহের বাতাবরণ তৈরি হলে দ্রুত যেন থানায় খবর দেওয়া হয়। যাতে সময় মতো পুলিশ পৌঁছে সেই ব্যক্তিকে উদ্ধারের পাশাপাশি যথাযথ ব্যবস্থা নিতে পারে।
এরই সঙ্গে শহরের বুকে দুষ্কৃতী-দৌরাত্ম্য ঠেকাতে তাদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য লালবাজারের গুন্ডা দমন শাখা এবং থানাগুলিকে নির্দেশ দিয়েছেন কলকাতা পুলিশের এক শীর্ষ কর্তা। প্রসঙ্গত, গত এক মাসে শহরে গুলি চালনার চারটি ঘটনা ঘটেছে। সেই পরিপ্রেক্ষিতে ওই পুলিশকর্তা নির্দেশে জানিয়েছেন, দাগি দুষ্কৃতীরা যাতে অপরাধ সংঘটিত করতে না পারে, তা নিশ্চিত করতে হবে। জোর বাড়াতে হবে অস্ত্র উদ্ধারে। কোথা থেকে ওই অস্ত্র আসছে, সেই খোঁজও চালাতে হবে।