পুজোর প্রস্তুতি খতিয়ে দেখলেন কলকাতার পুলিশ কমিশনার বিনীত গোয়েল। —ফাইল চিত্র।
আর মাত্র এক সপ্তাহ পরেই দুর্গাপুজো। সাজ সাজ রব চতুর্দিকে। তার আগে কলকাতার আটটি বড় পুজোর প্রস্তুতি খতিয়ে দেখতে বেরোলেন কলকাতা পুলিশের কমিশনার বিনীত গোয়েল। বৃহস্পতিবার সকালে দক্ষিণ কলকাতার বেশ কয়েকটি পুজোমণ্ডপে যান তিনি। খতিয়ে দেখেন সেখানকার অগ্নিনির্বাপণ ব্যবস্থা-সহ খুঁটিনাটি সব কিছু। পুলিশের তরফে জানা গিয়েছে, উত্তর এবং দক্ষিণ কলকাতা মিলিয়ে বৃহস্পতিবার তিনি কলকাতার আটটি বড় পুজোমণ্ডপে যাবেন। একটি পুজোমণ্ডপ থেকে বেরিয়ে পুলিশ কমিশনার জানান, সুরক্ষাবিধির সঙ্গে কোনও আপস করা হচ্ছে না। নিয়ম মেনে মণ্ডপ তৈরি করা হয়েছে কি না, তা খতিয়ে দেখতেই তাঁর এই সফর বলে জানিয়েছেন তিনি।
এর আগে কলকাতার আরও কিছু পুজোমণ্ডপ ঘুরে দেখেছিলেন যুগ্ম কমিশনার (সদর) সন্তোষ পাণ্ডে। এ বার বিধি মেনে মণ্ডপগুলি তৈরি হচ্ছে কি না, তা খতিয়ে দেখতে বেরোলেন স্বয়ং পুলিশ কমিশনারই। পুজোর সময় যে কোনও পরিস্থিতির মোকাবিলায় কলকাতা পুলিশ প্রস্তুত কি না, এই প্রশ্নের উত্তরে তিনি বলেন, “কলকাতা পুলিশের তরফে সমস্ত রকম প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে।” পুজোর সময় যানজট-সহ যে কোনও সমস্যায় পড়লে কলকাতা পুলিশের হেল্পলাইন নম্বরে ফোন করার আর্জি জানিয়েছেন তিনি। কমিশনার আরও জানান যে, কলকাতার পুজোর খ্যাতি এবং প্রচার বেড়েছে। বিদেশ থেকেও অনেকে এ বার পুজো দেখতে শহরে আসবেন। তাই তাঁদের নিরাপত্তা তো বটেই, সাধারণ নাগরিকদের নিরাপত্তায় কলকাতা পুলিশ প্রস্তুত।
প্রতি বছরই পুজোর নিরাপত্তা ব্যবস্থা খতিয়ে দেখতে পুজো উদ্যোক্তাদের সঙ্গে বৈঠকে বসে কলকাতা পুলিশ। সেই বৈঠকেই নিরাপত্তা সংক্রান্ত দিকগুলি নিয়ে প্রাথমিক আলোচনা হয়। শনিবার মহালয়া। এর মধ্যেই পর্যায়ক্রমে কলকাতার পুজোগুলির উদ্বোধন পর্ব শুরু হয়ে যাবে। ক্রমে জনতার ঢলও নামতে শুরু করবে শহরে। ২০ অক্টোবর, ষষ্ঠীর দিন সরকারি-বেসরকারি প্রায় সব অফিসই খোলা। তাই ওই দিন অফিসযাত্রীদের ভিড় যেমন থাকবে, তেমনই থাকবে ঠাকুর দেখার ভিড়ও। তাই পুজোর বাকি দিনগুলি তো বটেই, ষষ্ঠীর দিনও বিশেষ সতর্ক থাকছে পুলিশ।