প্রতীকী ছবি।
একটি উড়ো ফোনের সূত্র ধরে আলিপুরে একটি মধুচক্রের হদিশ পেল পুলিশ। কলকাতা পুলিশের গোয়েন্দা বিভাগের আধিকারিকদের সঙ্গে নিয়ে মহিলা কমিশনের সদস্যরা অভিযানে গেলে ওই স্পা থেকে হাতে নাতে ধরা পড়েন এক গ্রাহক এবং ছ’জন তরুণী।
পুলিশ সূত্রে খবর, কাজের টোপ দিয়ে ডাকা হয়েছিল এক তরুণীকে। কিন্তু পৌঁছনোর পর তাকে জানানো হয়, দেহ ব্যাবসায় নামতে হবে। তাঁকে জোর করা হয়। কিন্তু কোনও মতে সেখান থেকে পালিয়ে মহিলা কমিশনে ফোন করে গোটা ঘটনা জানান ওই তরুণী। আর সেই সূত্র ধরেই রাজ্য মহিলা কমিশনের সদস্যরা শুক্রবার সন্ধ্যায় আলিপুরের অভিজাত এলাকায় হদিশ পান দীর্ঘদিন ধরে রমরমিয়ে স্পা-এর আড়ালে চলা একটি মধুচক্রের।
পুলিশ জানিয়েছে, শুক্রবারই ওই তরুণীর ফোন পান তাঁরা। তারপরই কমিশনের পক্ষ থেকে জানানো হয় পুলিশকে। আলিপুর রোডের ওই বাড়ির একতলায় ‘প্রাভাদা থাই স্পা’-তে অভিযানে যায় পুলিশ। তদন্তকারী অফিসারদের সূত্রে খবর, প্রথমে ভয়ে ওই তরুণীরা দেহ ব্যবসার কথা অস্বীকার করছিল। কিন্তু ঘরের আবহ থেকে শুরু করে তরুণীদের পোশাক কোনওটাই স্পা-এর সঙ্গে মিলছিল না। এর পর আলাদা আলাদা করে ওই তরুণীদের জিজ্ঞাসা শুরু করেন মহিলা কমিশনের সদস্যরা। তখনই স্পা-এর আড়ালে দেহ ব্যবসার কথা স্বীকার করেন তাঁরা।
এই স্পা-এই চলত মধুচক্র।—নিজস্ব চিত্র।
পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, এক এক জন তরুণী মাসে ১০ হাজার টাকা পান। গ্রাহকদের কাছ থেকে ৩ থেকে ৫ হাজার টাকা নেওয়া হয়। এক তদন্তকারী অফিসার বলেন, ‘‘ওই তরুণীরা প্রত্যেকেই খুব গরীব পরিবার থেকে আসা। অর্থের প্রয়োজনে কাজ খুঁজতে এসে বাধ্য হয়েছে এই কাজ করতেন।’’ এক পুলিশ আধিকারিক বলেন, ‘‘এক তরুণী আমাদের জানিয়েছেন যে, তাঁর মায়ের ক্যানসার।’’ পুলিশ ওই তরুণীদের উদ্ধার করে নিয়ে যায়।
আরও পড়ুন: তেলঙ্গানা নিয়ে মমতার মতের সঙ্গে মিল নেই তাঁরই দলের সাংসদ দেব-নুসরত-মিমির!
মহিলা কমিশনের চেয়ার পার্সল লীনা গঙ্গোপাধ্যায় বলেন, ‘‘একটা ফোন এসেছিল। সেই ফোনের সূত্র ধরে আমরা এক তরুণীর হদিশ পাই। সেখান থেকেই জানা যায়, ওই স্পা-তে তরুণীদের কাজ দেওয়ার টোপ দিয়ে জোর করে দেহ ব্যবসায় বাধ্য করা হচ্ছিল।’’
আরও পড়ুন: লুধিয়ানা-নাগপুরে রাতে গন্তব্যে পৌঁছে দেবে পুলিশ, কলকাতায় নয় কেন?