n জোড়াবাগান এলাকার এই নির্মাণ ঘিরেই উঠেছে অভিযোগ। —নিজস্ব চিত্র
কলকাতা পুরসভার অনুমতি ছাড়া শহরের বিভিন্ন এলাকায় বেআইনি নির্মাণ গড়ার অভিযোগ দীর্ঘদিনের। কিছু ক্ষেত্রে পুলিশ ও পুরসভাকে নির্দিষ্ট অভিযোগ জানালে তারা ঘটনাস্থলে গিয়ে অবৈধ নির্মাণ ভেঙে দেয়। এও অভিযোগ, এমনটা সব ক্ষেত্রে হয় না। যেমন, উত্তরের জোড়াবাগান এলাকার একটি নির্মাণ। সেখান থেকে অবৈধ নির্মাণের খবর পেয়েও পুলিশ এবং পুরসভা নির্বিকার বলে অভিযোগ।
কেমন সেই অভিযোগ? টালির বাড়ি আর ঘুপচি রাস্তায় ঘেরা। অর্থাৎ, চারদিকে বস্তি।অভিযোগ, এই অপরিসর জায়গাতেই রাতের অন্ধকারে বেআইনি নির্মাণের কাজ চলছে। কলকাতা পুরসভা এবং স্থানীয় আমহার্স্ট স্ট্রিট থানায় লিখিত অভিযোগ করা সত্ত্বেও কাজের কাজ কিছু হচ্ছে না বলে দাবি।
কলকাতা পুরসভার ৩৮ নম্বর ওয়ার্ডের অন্তর্গত টি ৪/১সি প্রাণনাথ সেন লেন। এই ঠিকানায় প্রায় এক হাজার বর্গফুট এলাকা জুড়ে পাঁচতলা ফ্ল্যাট নির্মাণ চলছে। প্রায় তিন মাস আগে থেকে এই কাজ শুরু হয়েছে। স্থানীয় বাসিন্দারা জানাচ্ছেন, আগে এখানে টালির বাড়ি ছিল। সে সব ভেঙে পুরসভার অনুমতি ছাড়াই প্রোমোটারকে দিয়ে অবৈধ নির্মাণ হচ্ছে। যেখানে অবৈধ নির্মাণ চলছে তার মালিক দেবব্রত পাল বলেন, “আমি বাইরে আছি। এ নিয়ে কিছু বলব না।”
তানিয়া বন্দ্যোপাধ্যায় নামে স্থানীয় বাসিন্দার অভিযোগ, “একেই ছোট রাস্তা। তার উপরে নিয়ম না মেনে নির্মাণ হলে আগুন লাগলে দমকলের গাড়ি ঢুকতে পারবে না। বড়সড় বিপদ হবে।” অন্য বাসিন্দা সোমনাথ দে-র বক্তব্য, “আমরা স্থানীয় কাউন্সিলর, পুলিশকে বার বার বলা সত্ত্বেও দু’দিন কাজ বন্ধ ছিল। ফের রাতে কাজ চলছে।” আরও অভিযোগ, বস্তি এলাকায় এই বহুতল হলে আশপাশের বস্তিতে আলো-বাতাস যাবে না। তাঁদের দাবি, স্থানীয় কাউন্সিলরকে একাধিক বার বলা সত্ত্বেও কোনও লাভ হয়নি।
যদিও কলকাতা পুরসভার ৩৮ নম্বর ওয়ার্ডের তৃণমূল কাউন্সিলর সাধনা সাহা বলেন, “অভিযোগ পেয়েছি। পুরসভার বিল্ডিং বিভাগকে জানানো হয়েছে।” বিল্ডিং বিভাগের এক আধিকারিক বলেন, “পান্নালাল সেন লেনে অবৈধ নির্মাণ বন্ধ করতে নোটিস পাঠানো হয়েছে। ওই বেআইনি নির্মাণ শীঘ্রই ভেঙে ফেলা হবে।”
কেন তবে এখনও নির্মাণ কাজ চলছে? আমহার্স্ট স্ট্রিট থানার পুলিশ জানিয়েছে, ওখানে পুলিশ পাহারা বসানো হবে।