প্রতীকী ছবি। —ফাইল চিত্র
কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের স্নাতক স্তরে তৃতীয় বর্ষের (১+১+১ পদ্ধতিতে পার্ট থ্রি) পরীক্ষা অবিলম্বে নেওয়ার দাবিতে আন্দোলন চলছে। এরই মধ্যে জুন মাসে কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয় ওই পরীক্ষা কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয় জুন মাসে নেবে বলে একটি বিজ্ঞপ্তি ছড়িয়ে পড়েছে সোশ্যাল মিডিয়ায়। যদিও ওই বিজ্ঞপ্তি সম্পূর্ণ ভুয়ো বলে বিশ্ববিদ্যালয় সূত্রের খবর।
সোশ্যাল মিডিয়ায় ছড়িয়ে পড়া ওই বিজ্ঞপ্তিতে নাম রয়েছে বিশ্ববিদ্যালয়ের দায়িত্বপ্রাপ্ত পরীক্ষা নিয়ামক জয়িতা দত্তগুপ্তের। কিন্তু তিনি আগে যে সব বিজ্ঞপ্তি জারি করেছেন, তাতে থাকা তাঁর সইয়ের সঙ্গে বিজ্ঞপ্তির সইয়ের কোনও মিল নেই। পরীক্ষা নিয়ামকের দেওয়া নির্দেশ অথবা বিজ্ঞপ্তিতে তাঁর নাম এবং স্বাক্ষরের নীচে লেখা থাকে ‘কন্ট্রোলার অব এগজামিনেশন্স (অ্যাক্টিং)’। ওই বিজ্ঞপ্তিতে লেখা হয়েছে ‘কন্ট্রোলার অব এগজামিনেশন্স (অ্যাক্টিভ)’। পার্ট থ্রি পরীক্ষা অবিলম্বে নেওয়ার দাবিতে সম্প্রতি বিশ্ববিদ্যালয় অভিযান করেছিল ক্যালকাটা ইউনিভার্সিটি স্টুডেন্টস ইউনিটি। ওই সংগঠনের আহবায়ক অনীক দে রবিবার বলেন, ‘‘এই ধরনের ভুয়ো বিজ্ঞপ্তি দেখে ছাত্রছাত্রীরা বিভ্রান্ত হচ্ছেন। যারা এই ধরনের বিজ্ঞপ্তি ছড়াচ্ছে, বিশ্ববিদ্যালয় তাদের বিরুদ্ধে কড়া পদক্ষেপ করুক।’’ একই সঙ্গে ছাত্রছাত্রীদের যাতে শিক্ষাজীবনের একটা বছর নষ্ট না হয়, তাই চলতি মাসে অথবা আগামী মাসের মধ্যেই পড়ুয়াদের স্বার্থের কথা মাথায় রেখে এই পরীক্ষা নেওয়ার দাবি জানিয়েছেন তিনি।
উল্লেখ্য, কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের স্নাতক স্তরে সিবিসিএস পাঠ্যক্রম চালু হয়ে যাওয়ার ফলে এখন সিমেস্টার সিস্টেমে পঠনপাঠন হয়। বার্ষিক ব্যবস্থায় পঠনপাঠন এখন আর হয় না। তৃতীয় বর্ষের (১+১+১) এই পড়ুয়ারা কেউই আর নিয়মিত পড়ুয়া নন। তাঁরা অকৃতকার্য হওয়া পড়ুয়া। সম্প্রতি এই পরীক্ষা নেওয়ার দাবি জানিয়ে সহ-উপাচার্য (শিক্ষা)-র সঙ্গে দেখা করেছিলেন ক্যালকাটা ইউনিভার্সিটি স্টুডেন্টস ইউনিটির নেতৃত্ব। তিনি বিষয়টি মানবিক দৃষ্টিভঙ্গিতে দেখবেন বলে আশ্বস্ত করেছিলেন। এর পরে এই বিজ্ঞপ্তি দেখে পড়ুয়াদের ধারণা হয়, জুনে হবে পার্ট থ্রি পরীক্ষা। কিন্তু বিশ্ববিদ্যালয় সূত্রের খবর, ওই বিজ্ঞপ্তি সম্পূর্ণ ভুয়ো। জুনে এই পরীক্ষা নেওয়ার সিদ্ধান্ত বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ আদৌ নেননি। বিষয়টি নিয়ে পরীক্ষা নিয়ামককে ফোন এবং মেসেজ করা হলেও উত্তর পাওয়া যায়নি।