প্রতীকী ছবি।
কলকাতার হরিদেবপুরের হোমে দৃষ্টিহীন নাবালিকাদের নির্যাতনের ঘটনায় ধৃতের সংখ্যা বেড়ে হল তিন। শুক্রবার সকালে গ্রেফতার করা হয়েছে হোমের রাঁধুনি বাবলু কুণ্ডুকে। বৃহস্পতিবার রাতেই তাঁকে আটক করে জিজ্ঞাসাবাদ করছিল পুলিশ। তার পরই শুক্রবার গ্রেফতার হন তিনি।
কলকাতার হরিদেবপুরের হোমে দৃষ্টিহীন নাবালিকাদের নির্যাতনের ঘটনায় ধৃতের সংখ্যা বেড়ে হল তিন। শুক্রবার সকালে গ্রেফতার করা হয়েছে হোমের রাঁধুনি বাবলু কুণ্ডুকে। বৃহস্পতিবার রাতেই তাঁকে আটক করে জিজ্ঞাসাবাদ করছিল পুলিশ। তার পরই শুক্রবার গ্রেফতার হন তিনি।
নাবালিকাদের নির্যাতনের অভিযোগে বৃহস্পতিবার রাতেই গ্রেফতার করা হয়েছিল হোমের অধ্যক্ষ এবং সেক্রেটারিকে। ধৃত সেক্রেটারির নাম জীবেশ দত্ত। তিনি হোমের প্রতিষ্ঠাতাও বটে। তবে অধ্যক্ষ মহিলা হওয়ায় তাঁর নাম প্রকাশ করেনি পুলিশ। হরিদেবপুরের এই হোমে মূলত দৃষ্টিহীনদের বাস। থাকার ব্যবস্থার পাশাপাশি শিক্ষাদনের ব্যবস্থাও রয়েছে এই হোমে।
হোমেরই বেশ কয়েক জন নাবালিকাকে নির্যাতনের অভিযোগ ওঠার পর শোরগোল পড়ে গিয়েছে। পুলিশের কাছে ধর্ষণ এবং শ্লীলতাহানির অভিযোগ জানায় হোমেরই দুই নাবালিকা। পুলিশের কাছে যে এফআইআর করা হয়েছিল, সেখানে হোমের অধ্যক্ষ, সেক্রেটারি এবং রাঁধুনির নাম রয়েছে। দু’জনকে আগেই গ্রেফতার করেছিল পুলিশ। এ বার রাঁধুনিকে গ্রেফতার করা হল। ধৃতদের বিরুদ্ধে পকসো আইনে মামলা রুজু হয়েছে।
অভিযোগ উঠেছে, ২০১০ সাল থেকে নাবালিকাদের উপর নির্যাতন চলছে। এই নির্যাতনের খবর পাওয়া সত্ত্বেও হোমের অধ্যক্ষ কোনও রকম পদক্ষেপ করেননি বলেও অভিযোগে জানানো হয়েছে। হোমের নাবালিকাদের উপর নির্যাতন চলছে, এই মর্মে প্রথমে অভিযোগ জমা পড়ে রাজ্যের শিশু সুরক্ষা কমিশনের কাছে। তার পর বিষয়টি নিয়ে তৎপর হয় পুলিশও। বৃহস্পতিবার রাতেই হোমে তল্লাশি চালায় পুলিশ।
পুলিশ সূত্রে খবর, হোমের দু’টি ঘর থেকে মোট ৪০ জনকে অন্যত্র সরানো হয়েছে। তাদের মধ্যে একটি ঘর থেকে ৩২ জনকে, অন্য ঘর থেকে আট কিশোরীকে নিরাপদ স্থানে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। হরিদেবপুরের এই হোম শুধু নাবালিকা নয়, ৩৮ জন দৃষ্টিহীন বালকেরও ঠিকানা। এখানে মূলত ঝাড়খণ্ড, গিরিডি থেকে বাচ্চারা আসে।