Crime

কচুরিপানা ভর্তি পুকুর থেকে ধৃত ৩

মঙ্গলবার রাতে ঘটনাটি ঘটেছে হুগলির পান্ডুয়া থানার বৈঁচি স্টেশন রোডে। ধৃতদের নাম নিশাত হায়দার, মহম্মদ শাহনওয়াজ হোসেন এবং মহম্মদ মাসুক।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

কলকাতা শেষ আপডেট: ২৪ সেপ্টেম্বর ২০২০ ০৩:২৪
Share:

প্রতীকী ছবি।

পুলিশ আসার খবর পেয়েই কচুরিপানা ভর্তি এঁদো পুকুরে ঝাঁপ দিয়েছিল অভিযুক্তেরা। তাদের ধারণা ছিল, রাতের অন্ধকারে কচুরিপানার আড়ালে গা-ঢাকা দিয়ে থাকলে পুলিশ নাগাল পাবে না। কিন্তু তাতেও শেষরক্ষা হল না। পুকুরের চার পাশ ঘিরে, জলে নেমে কলকাতা পুলিশের গুন্ডা দমন শাখার গোয়েন্দারা ‘জালে’ পুরেছেন ওই তিন দুষ্কৃতীকে। তাদের বিরুদ্ধে কড়েয়া থানা এলাকার একটি হুকা বারের ম্যানেজারকে বন্দুকের বাট দিয়ে আঘাত করা এবং সেখানে বোমাবাজি ও গুলি চালানোর অভিযোগ রয়েছে।

Advertisement

মঙ্গলবার রাতে ঘটনাটি ঘটেছে হুগলির পান্ডুয়া থানার বৈঁচি স্টেশন রোডে। ধৃতদের নাম নিশাত হায়দার, মহম্মদ শাহনওয়াজ হোসেন এবং মহম্মদ মাসুক। তাদের জেরা করে ঘটনার দিন ব্যবহৃত অস্ত্রগুলিও উদ্ধার করেছেন গোয়েন্দারা। তিন জনকে বুধবার আলিপুর আদালতে তোলা হয়েছিল। সরকারি কৌঁসুলি শুভেন্দু ঘোষ জানান, বিচারক তাদের ১২ দিনের পুলিশি হেফাজতে রাখার নির্দেশ দিয়েছেন।

পুলিশ জানায়, গত ১৭ সেপ্টেম্বর রাতে কড়েয়া থানার নাসিরুদ্দিন রোডের ওই হুকা বারে যায় অভিযুক্ত নিশাত। সঙ্গে ছিল শাহনওয়াজ ও মাসুক। অভিযোগ, বারে ঢুকে তারা মালিকের খোঁজ করে। তিনি না-থাকায় ম্যানেজার কথা বলতে এলে তাঁকে মারধর করে অভিযুক্তেরা। আরও অভিযোগ, চলে যাওয়ার সময়ে তারা বোমা ছোড়ে এবং শূন্যে তিন রাউন্ড গুলি চালায়।

Advertisement

তদন্তে গোয়েন্দারা জানতে পারেন, বৈঁচির বাসিন্দা শেখ রুস্তমের বাড়িতে লুকিয়ে আছে তিন অভিযুক্ত। মঙ্গলবার রাতে সেখানে হানা দেয় পুলিশ। কিন্তু তারা বাড়িতে ঢোকার আগেই বারান্দা থেকে পাশের পুকুরে ঝাঁপ দেয় অভিযুক্তেরা। পুলিশের দাবি, তদন্তকারীরা গোটা বাড়িতে তল্লাশি চালিয়েও অভিযুক্তদের না-পেয়ে রুস্তমকে জিজ্ঞাসাবাদ শুরু করেন। তখনই তিনি জানান, অভিযুক্তেরা পুকুরে লুকিয়ে আছে।

প্রাথমিক তদন্তে পুলিশ জানিয়েছে, অভিযুক্তদের সঙ্গে পুরনো গোলমাল রয়েছে ওই হুকা বারের মালিকের। পুলিশের দাবি, জেরায় ধৃতেরা জানিয়েছে, আগের একটি ঘটনায় তাদের এক জনকে বিপদে ফেলেছিলেন হুকা বারের মালিক। তার বদলা নিতেই তিন জন সেখানে গিয়েছিল। পুলিশ অবশ্য সব দিকই খতিয়ে দেখছে।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement