এই ধরনের খবরের ক্ষেত্রে আসল ছবি প্রকাশে আইনি নিষেধাজ্ঞা থাকে। —প্রতিনিধিত্বমূলক ছবি।
আর জি কর মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের মর্গে হাতাহাতির ঘটনায় দুই ডোমকে গ্রেফতার করল পুলিশ। তাদের এক জন মর্গের হেড ডোম সন্তোষ মল্লিক। যার বিরুদ্ধে দীর্ঘ দিন ধরে অনিয়মের অভিযোগ উঠছিল। এমনকি, মর্গ-দুর্নীতির অভিযোগে কয়েক বার সন্তোষকে ডেকে জিজ্ঞাসাবাদও করেছে সিবিআই। সম্প্রতি প্রকাশ্যে আসা দু’টি ভিডিয়োয় (আনন্দবাজার সত্যতা যাচাই করেনি) দেখা যায়, চিকিৎসকের বদলে সন্তোষই মৃতদেহ পরীক্ষা করছেন। তাঁর কথা শুনেই ময়না তদন্তের রিপোর্ট তৈরি করছেন বিভাগীয় প্রধান চিকিৎসক।
শনিবার রাতে সন্তোষ-সহ আর এক ডোম শম্ভু মল্লিককে গ্রেফতার করা হয়েছে। গত বৃহস্পতিবার রাতে মর্গে শম্ভু এবং আর এক ডোম গোপাল মল্লিককে নেশা করানোর অভিযোগ ওঠে সন্তোষের বিরুদ্ধে। মৃতের পরিজনদের থেকে সন্তোষের নেতৃত্বে যে টাকা নেওয়া হয়, তার ভাগ নিয়ে তিন জনের বচসা বাধে। দাবি, তাঁর স্ত্রী ও মেয়েকে সন্তোষ অশ্লীল ইঙ্গিত করার প্রতিবাদ জানান গোপাল। অভিযোগ, এই সব নিয়ে সন্তোষের সঙ্গে বাকি দু’জনের হাতাহাতিতে কম্পিউটার ও কিছু আসবাব ভাঙে।
আরও অভিযোগ, শম্ভু ও গোপালকে মর্গে আটকে রাখেন সন্তোষ। পরে সিআরপিএফ তাঁদের উদ্ধার করে। এর জেরে শুক্রবার প্রায় সারা দিন মর্গের পরিষেবা বন্ধ থাকে। পুলিশকে তদন্ত করে ব্যবস্থা নিতে বলেন আর জি কর কর্তৃপক্ষ। রবিবার আর জি করের সুপার সপ্তর্ষি চট্টোপাধ্যায় বলেন, ‘‘টালা থানার পুলিশ ওদের দোষী মনে করে গ্রেফতার করেছে।’’ অন্য দিকে, ময়না তদন্ত সংক্রান্ত দু’টি ভিডিয়ো নিয়ে হইচই শুরু হতেই, আর জি করের অধ্যক্ষের কাছে পূর্ণাঙ্গ রিপোর্ট চেয়েছে স্বাস্থ্য দফতর।
দু’জন ডোম কমে যাওয়ায় মর্গের পরিষেবায় সমস্যা হবে, মনে করছেন আর জি কর কর্তৃপক্ষ। সপ্তর্ষি বলেন, ‘‘অভিজ্ঞ ডোম খুবই কম। অ্যানাটমি বিভাগে এক জন আছেন। তাঁকে মর্গে আনার ভাবনাচিন্তা হচ্ছে। ময়না তদন্তের কাজে অভিজ্ঞ নন, এমন ডোমদের বিভাগে পাঠানো হবে।’’ ফরেন্সিক মেডিসিনের চিকিৎসক হওয়ায় প্রতি সপ্তাহে তিনিও ময়না তদন্ত করবেন, জানান সপ্তর্ষি। তাঁর কথায়, ‘‘প্রতি সপ্তাহে আমি মর্গে গেলে কর্মীরাও সজাগ থাকবেন।’’