গাড়িটি বাজেয়াপ্ত করে ময়দান থানার পুলিশ। নিজস্ব চিত্র।
পুলিশের কুচকাওয়াজ চলার সময় ফের বেপরোয়া গাড়ি ঢুকে পড়ার চেষ্টা করল রেড রোডে। তবে সতর্ক পুলিশ প্রহরা এবং গার্ড রেল থাকায়, নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে গাড়িটি ধাক্কা মারে গার্ড রেলে। মঙ্গলবার সকালের ওই ঘটনায় গ্রেফতার করা হয়েছে ১৯ বছরের এক পড়ুয়াকে।
কয়েক বছর আগে এ ভাবেই বেপরোয়া গতিতে গাড়ি চালিয়ে প্রজাতন্ত্র দিবসের সেনা কুচকাওয়াজের মহড়া চলার সময় ঢুকে পড়েছিল একটি গাড়ি। সেই গাড়ির ধাক্কায় প্রাণ গিয়েছিল অভিমন্যু গৌড় নামে এক বায়ুসেনা কর্মীর। যদিও ওই ঘটনায় আদালত থেকে বেকসুর খালাস হয়েছেন অভিযুক্ত হিসাবে ধৃত সাম্বিয়া সোহরাব।
পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, মঙ্গলবার সকাল পৌনে ৭টা নাগাদ খিদিরপুর রোড ধরে নীল রঙের একটি সেডান দ্রুত গতিতে এগিয়ে আসে রেড রোডের দিকে। রাস্তায় থাকা পুলিশ কর্মীরা গাড়িটি থামানোর চেষ্টা করলেও, চালক কর্ণপাত না করে আরও গতি বাড়িয়ে এগিয়ে যান দক্ষিণ থেকে উত্তরের দিকে। ওই সময়ে রেড রোডে স্বাধীনতা দিবসের কুচকাওয়াজের মহড়া দিচ্ছিলেন পুলিশকর্মীরা। গাড়িটি জেকে আইল্যান্ডের কাছে এসে পৌঁছলে চালক দেখেন গার্ড রেল দিয়ে রাস্তা বন্ধ। পুলিশের অভিযোগ, গাড়িটির গতি এতটাই বেশি ছিল যে চালক গার্ড রেল দেখেও গাড়িটি থামাতে পারেননি এবং নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে গার্ড রেলে সজোরে ধাক্কা মারেন। পুলিশ জানিয়েছে, তার আগে কলকাতা পুলিশের একটি বাসেও ধাক্কা মারে গাড়িটি।
তবে ঘটনায় চালক আহত হননি। ঘটনাস্থলে থাকা পুলিশকর্মীরা সঙ্গে সঙ্গে চালককে গাড়ি থেকে উদ্ধার করে আটক করেন। গাড়িটি বাজেয়াপ্ত করে ময়দান থানার পুলিশ। আটক চালককে জেরা করে জানা যায় তাঁর নাম অরিত্র সান্যাল। বন্ডেল রোডে বাড়ি।
আরও পড়ুন: তিন দিনের মেয়েকে খুনের অভিযোগে ধৃত মা
পুলিশকে ১৯ বছরের ওই তরুণ জানিয়েছেন, তিনি বাড়ি থেকে বেরিয়েছিলেন সকালের ফাঁকা রাস্তায় জয়রাইডের উদ্দেশ্যে। প্রাথমিক তদন্তে পুলিশ জানতে পেরেছে, মাত্র ৮ মাস আগে ড্রাইভিং লাইসেন্স পেয়েছেন ওই তরুণ। তিনি ভুবনেশ্বরের একটি বেসরকারি কলেজে সাংবাদিকতা পড়েন। গাড়িটি তাঁর মা সুলগ্না সান্যালের নামে নথিভুক্ত। ২০১৮ সালের জানুয়ারি মাসে কেনা।
পুলিশ অরিত্রকে গ্রেফতার করেছে বেপরোয়া গাড়ি চালিয়ে মানুষের জীবন বিপদে ফেলার অভিযোগে। ভারতীয় দন্ডবিধির ২৭৯ এবং ৪২৭ নম্বর ধারায় মামলা দায়ের করেছে পুলিশ।