প্রতীকী ছবি।
আট মাস আগের একটি খুনের ঘটনায় অভিযুক্তকে গ্রেফতার করল লালবাজারের গোয়েন্দা বাহিনী। শুক্রবার রাতে, ঝাড়খণ্ডের রিখিয়া থানা এলাকা থেকে। জোড়াবাগান থানার পুলিশের সঙ্গে যৌথ অভিযানে ওই অভিযুক্তকে ধরা হয়।
পুলিশ জানিয়েছে, ধৃতের নাম কৃষ্ণ কুমার ওরফে গিরিশ। ঝাড়খণ্ডের সাতগাঁও এলাকায় তার বাড়ি। খুনের ঘটনার পর থেকেই সে পালিয়ে বেড়াচ্ছিল। এক বন্ধুর বাড়িতে লুকিয়ে থাকা অবস্থায় অভিযুক্তকে পাকড়াও করা হয়। শনিবারই তাকে কলকাতায় নিয়ে আসা হয়। ব্যাঙ্কশাল আদালতের সরকারি কৌঁসুলি অরূপ চক্রবর্তী জানান, ধৃতকে এ দিন আদালতে তোলা হলে বিচারক ৮ এপ্রিল পর্যন্ত পুলিশি হেফাজত দেন।
গত বছরের ২১ জুলাই ভোরে জোড়াবাগান থানা এলাকার বি কে পাল অ্যাভিনিউয়ের ফুটপাত থেকে এক যুবককে রক্তাক্ত অবস্থায় উদ্ধার করে পুলিশ। বছর ছাব্বিশের ওই যুবকের নাম ওমপ্রকাশ শর্মা ওরফে শিখণ্ডী। তাঁর কপালে গভীর আঘাত দেখে পুলিশের অনুমান ছিল, পাথর জাতীয় ভারী কোনও বস্তু দিয়ে মাথায় আঘাত করা হয়ে থাকতে পারে। প্রথমে আর জি কর মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল এবং সেখান থেকে তাঁকে কলকাতা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়। সেখানেই ওই যুবক মারা যান। প্রথমে খুনের চেষ্টার মামলা দায়ের হলেও পরে খুনের মামলা শুরু হয়।
তদন্তে পুলিশ জানতে পারে, আহিরীটোলার বঙ্গ বিদ্যালয় স্কুলের কাছে ফুটপাতে ভাতের হোটেল ছিল ওমপ্রকাশের। রাতে সেটি বন্ধ করে সামনের ফুটপাতে ঘুমোতেন তিনি। সেখান থেকেই তাঁকে রক্তাক্ত অবস্থায় উদ্ধার করা হয়েছিল। এলাকার সিসি ক্যামেরার ফুটেজ দেখে জানা যায়, ওই রাতে ওমপ্রকাশ আরও এক জনের সঙ্গে ছিলেন। তদন্তে জানা যায়, ওই অন্য জনই কৃষ্ণ। শোভাবাজারে একটি কয়লার গুদাম রয়েছে তার। ঘটনার পর থেকেই সে পলাতক ছিল। তদন্তকারীরা জানান, দু’জনে ওই রাতে একসঙ্গে বসে মদ্যপান করেন। এর পরেই কোনও বিষয়ে দু’জনের বচসা হয়। তখনই পাথর দিয়ে ওমপ্রকাশের মাথায় আঘাত করে কৃষ্ণ।