অলঙ্করণ: তিয়াসা দাস
অপহরণের ঘটনায় এ বার গ্রেফতার খোদ অপহৃত ব্যক্তিই! গত বৃহস্পতিবার দুপুরে মধ্য কলকাতায় ই-মলের সামনে থেকে সৌমেন বসুকে অপহরণ করা হয়। এই ঘটনায় ছ’জন আগেই পুলিশের জালে পড়েছে। তাঁদেরকে জেরা করে জানা যায়, চাকরি দেওয়ার নামে প্রায় এক কোটি টাকা আত্মসাৎ করেছে সৌমেন। ফলে প্রতারণার অভিযোগে সৌমেনকেও গ্রেফতার করেছে পুলিশ। একই সঙ্গে গ্রেফতার করা হয়েছে অপহরণের কাজে ব্যবহৃত বোলেরো গাড়ির চালককেও।
বৃহস্পতিবার দুপুরে মধ্য কলকাতার মতো জমজমাট এলাকায় অপহরণের দৃশ্য দেখে হকচকিয়ে গিয়েছিলেন পথচলতি মানুষ। তাঁদেরই এক জন কলকাতা পুলিশের ১০০ ডায়ালে ফোন করে গাড়ির নম্বর-সহ গোটা বিষয়টি জানান।
এর পরেই অপহরণকারীদের খোঁজে শুরু হয় তৎপরতা। ওই এলাকার সিসি ক্যামেরার ফুটেজে গাড়ির নম্বর ধরা পড়ে। এই ঘটনায় তদন্তে নামে কলকাতা পুলিশের গোয়েন্দা বিভাগ এবং বৌবাজার থানা। রাতভর কলকাতা এবং বীরভূমে নাকাতল্লাশি চালিয়ে শেষ পর্যন্ত পুলিশ গাড়িটিকে আটক করে। গ্রেফতার করা হয় ৬ অপহরণকারীকে। ধৃতদের মধ্যে তিন পুলিশকর্মী এবং এক জন বিএসএফ অফিসার রয়েছেন।
আরও পড়ুন- লাগাতার ধর্ষণ, গর্ভপাত! মুম্বইয়ের পুলিশকর্তার বিরুদ্ধে অভিযোগ উজবেক মহিলার
আরও পড়ুন- বন্ধুকে আটক করে মুক্তিপণ দাবি, ধৃত যুবক
তিন পুলিশকর্মীর মধ্যে দু’জন কলকাতা পুলিশের কমব্যাট ফোর্সের কনস্টেবল— শ্যামল মণ্ডল ও জাকির খান, অন্য জন মহম্মদ হানিফ, রাজ্য সশস্ত্র বাহিনীর সপ্তম ব্যাটালিয়ানের কনস্টেবল। আর এক জন বিএসএফের কনস্টেবল, নাম আমির হোসেন। বাকি দুই ধৃতের মধ্যে অভিজিৎ ঘোষ মালদহের ইংলিশ বাজারের বাসিন্দা এবং মানজারুল হক বীরভূমের লাভপুরের বাসিন্দা।
ধৃতদের এ দিন ব্যাঙ্কশাল আদালতে তোলা হলে সৌমেনকে ২৬ অক্টোবর এবং বাকি সাত জনকে ২২ অক্টোবর পর্যন্ত পুলিশ হেফাতের নির্দেশ দিয়েছে।