Mobile Thief

ছাত্রীর মৃত্যুর সূত্রে ১০ মাস পরে ধৃত মোবাইল চোর

পুলিশ। ধৃতের নাম সন্দীপ ঘোষ ওরফে রোগা। তার বাড়ি সোনারপুর থানার নাটাগাছিতে।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

কলকাতা শেষ আপডেট: ০৮ জুন ২০২১ ০৫:৫২
Share:

প্রতীকী ছবি।

অনলাইন ক্লাস করার সম্বল একমাত্র মোবাইল ফোনটি চুরি হয়ে যাওয়ায় আত্মঘাতী হয়েছিল সোনারপুর থানার বিদ্যাধরপুরের বাসিন্দা মাধ্যমিক পরীক্ষার্থী এক ছাত্রী। ঘটনাটি ঘটেছিল গত বছরের সেপ্টেম্বরে। সেই ঘটনায় মূল অভিযুক্তকে অবশেষে গ্রেফতার করল পুলিশ। ধৃতের নাম সন্দীপ ঘোষ ওরফে রোগা। তার বাড়ি সোনারপুর থানার নাটাগাছিতে।

Advertisement

কী হয়েছিল ঘটনাটি? স্থানীয় সূত্রের খবর, বাড়ি থেকে কিছুটা দূরে ওই ছাত্রীর বাবা স্বপন সাহার মুদির দোকান ছিল। এক দুপুরে স্বপনবাবু বাড়িতে খেতে এসেছিলেন। দোকানে ছিল তাঁর মেয়ে। তদন্তকারীরা জানিয়েছেন, সেই সময়ে সাইকেল নিয়ে এক যুবক দোকানে আসে। ওই ছাত্রীটিকে নানা জিনিসের ফরমায়েশ করে সে। এর পরে টাকা আনতে ভুলে গিয়েছে বলে তার কাছ থেকে মোবাইল ফোনটি চেয়ে নেয়। যুবকটি ছাত্রীকে জানায়, সে বাড়িতে ফোন করে টাকা আনার ব্যবস্থা করছে। পুলিশ জানিয়েছে, ওই ছাত্রী যখন বিভিন্ন জিনিস প্যাকেটে ভরছিল, সেই সুযোগে তার মোবাইলটি নিয়ে পালায় ওই যুবক। স্কুলে অনলাইন ক্লাসের জন্য মেয়েকে ফোনটি কিনে দিয়েছিলেন স্বপনবাবু। ফোন চুরি হয়ে যাওয়ায় মানসিক ভাবে ভেঙে পড়েছিল ওই ছাত্রী। দোকান থেকে বাড়ি ফিরে ঘরের দরজা বন্ধ করে সে আত্মঘাতী হয়।

সোনারপুর থানার আইসি সঞ্জীব চক্রবর্তী বলেন, ‘‘ওই ঘটনার পরে আমরা চ্যালেঞ্জ নিয়েছিলাম, যেমন করে হোক অভিযুক্তকে গ্রেফতার করতেই হবে।’’ তদন্তকারীরা জানান, প্রথমে চুরি যাওয়া মোবাইলটির আইএমইআই নম্বর সংগ্রহ করা হয়। কলকাতা পুলিশ-সহ রাজ্যের সব থানা ও কমিশনারেটকে বলা হয়, বিশেষ গুরুত্ব দিয়ে ওই মোবাইলটির অবস্থান সম্পর্কে খোঁজ নিতে।

Advertisement

কী ভাবে ধরা পড়ল ওই মোবাইল-চোর?

সোনারপুর থানা সূত্রে জানা গিয়েছে, দিন কয়েক আগে আচমকা দেখা যায়, মোবাইলটি চালু হয়েছে। সেই সূত্র ধরে সোনারপুর থেকে এক ব্যক্তিকে আটক করে পুলিশ। জিজ্ঞাসাবাদে সে জানায়, নাটাগাছি এলাকার বাসিন্দা পেশায় রাজমিস্ত্রি সন্দীপ ঘোষ ওরফে রোগা নামে এক ব্যক্তি তাকে সাড়ে চার হাজার টাকায় ওই ফোনটি বিক্রি করেছে। এর পরেই নাটাগাছি থেকে সন্দীপকে গ্রেফতার করেন তদন্তকারীরা।

পুলিশ জানিয়েছে, পেশায় রাজমিস্ত্রি হলেও সন্দীপ নানা ছলছুতোয় লোকের থেকে মোবাইল হাতিয়ে গায়েব হয়ে যেত। এর আগে সে কলকাতা পুলিশের হাতেও একাধিক বার ধরা পড়েছে। ধৃতের বিরুদ্ধে মোবাইল চুরি এবং আত্মহত্যায় প্ররোচনা দেওয়ার ধারায় মামলা রুজু করেছে পুলিশ। তদন্তকারীদের অনুমান, সে প্রায় শতাধিক মোবাইল চুরি করেছে।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement