—প্রতীকী চিত্র।
বারাসতের কাছারি ময়দানে বুধবার আয়োজিত প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর জনসভা ঘিরে কার্যত অচল রইল বারাসত। যার প্রভাব পড়ে ভিআইপি রোড এবং যশোর রোডেও।
এ দিন বেলা ১১টার কিছু পরে কলকাতা বিমানবন্দরে নামে প্রধানমন্ত্রীর হেলিকপ্টার। আড়াই নম্বর গেট ছুঁয়ে তাঁর কনভয়ের রুট ছিল যশোর রোড হয়ে বারাসত এবং বারাসত থেকে বিমানবন্দর। কনভয়ের যাত্রাপথের দু’ধার বাঁশের বেড়া দিয়ে ঘিরে দেওয়ায় রাস্তা পারাপারেও পথচারীদের সমস্যায় পড়তে হয়। মাইকেলনগর, মধ্যমগ্রাম, ডাকবাংলো মোড়ে সেই ছবি দেখা যায়।পুলিশ শুরুতে নির্দিষ্ট জায়গা দিয়ে রাস্তা পারাপারের ব্যবস্থা রাখলেও পরে ধীরে ধীরে বন্ধ করে দেয়। অনেক অনুরোধ করে তবেই পারাপারের সুযোগ পায় পরীক্ষার্থীরা।
এ দিন প্রধানমন্ত্রী সড়কপথে আসায় নিরাপত্তার কড়াকড়ি তো ছিলই, তার উপরে বারাসত ও সংলগ্ন এলাকা থেকে দলে দলে সমর্থকেরা হেঁটে সভাস্থলে যান। এতে কাছারি ময়দানের আশপাশের রাস্তায় গাড়ির গতি শ্লথ হয়। ওই সব রাস্তা বালি, ব্যারাকপুর, আমডাঙার মতো উত্তর শহরতলির বিভিন্ন জায়গার সঙ্গে বারাসতের যোগাযোগ রক্ষা করছে।
নিরাপত্তার কারণে রুট ঘুরিয়ে দেওয়ায় বারাসতের তিতুমির বাসস্ট্যান্ডে বহু বাস ফিরতেই পারেনি বলে দাবি বাসমালিকদের। এ দিন সভা চলাকালীন সেখানে গিয়ে দেখা যায়, বাস নেই। বাসস্ট্যান্ড জুড়ে বিজেপির সমর্থকেরা। জানা গেল, সকাল ১০টার পর থেকে বাসস্ট্যান্ড কার্যত বন্ধ। বেরোনো বাস হয় রাস্তায় আটকে রয়েছে, নয়তো অন্য রুটে ঘুরিয়ে দেওয়া হয়েছে। ফলে, গন্তব্যের বহু আগে যাত্রীরা নামতে বাধ্য হন।
বারাসত পুলিশ জেলার আধিকারিকেরা জানান, ডাকবাংলো মোড় থেকে বারাসতের কাছারি মোড় কিংবা কলোনি মোড়ের রাস্তা একমুখী। এমনকি, সার্ভিস রোডও নেই। এ দিন ডাকবাংলো মোড় থেকে কাছারি ময়দানের রাস্তা বন্ধ করায় পার্শ্ববর্তী রাস্তায় যানবাহন আটকে পড়ে। বেলার দিকে অ্যাম্বুল্যান্সও আটকে পড়ে। কর্তব্যরত পুলিশ অবশ্য সেটি বার করে দেয়। সভা চলাকালীন হেলাবটতলা, সন্তোষপুর, কাচকল মোড়ের মতো রাস্তা দিয়ে উত্তর শহরতলির গাড়ি ঘোরানো হয়। পুলিশ জানায়, মঙ্গলবারই ওই পদক্ষেপের কথা ঘোষণা করা হয়েছিল। যে সব বাস বা গাড়ি বারাসত ছুঁয়ে যায়, সেগুলির চালকদের কাছে সে খবর ছিল না বলেই তাঁরা জানান। বাস না পেয়ে হেঁটেই অনেকে বারাসত স্টেশনে যান।