Baranagar

জঞ্জালে রুদ্ধ বাগজোলা, ডেঙ্গি-আতঙ্ক বরাহনগরে

বরাহনগর পুরসভার পূর্ব দিকের ওয়ার্ডগুলিতে নিকাশির প্রধান ভরসা বাগজোলা খাল। সেই খালের বেহাল দশার কারণে কয়েকটি এলাকা অল্প বৃষ্টিতেই জলমগ্ন হচ্ছে।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ১৫ সেপ্টেম্বর ২০২২ ০৭:২০
Share:

খাল সংলগ্ন এলাকাতেই মশাবাহিত রোগের প্রকোপ সব চেয়ে বেশি। প্রতীকী ছবি।

কোথাও খালপাড় দখল করে তৈরি হয়েছে বসতি। কোথাও জমেছে আবর্জনা। ফলে খালের জল জমে রয়েছে একই জায়গায়। এলাকার সেই প্রধান নিকাশি খালই ডেঙ্গি পরিস্থিতিতে মাথাব্যথার কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে বরাহনগরে। খাল সংলগ্ন এলাকাতেই মশাবাহিত রোগের প্রকোপ সব চেয়ে বেশি।

Advertisement

বরাহনগর পুরসভার পূর্ব দিকের ওয়ার্ডগুলিতে নিকাশির প্রধান ভরসা বাগজোলা খাল। সেই খালের বেহাল দশার কারণে কয়েকটি এলাকা অল্প বৃষ্টিতেই জলমগ্ন হচ্ছে। ড্রেনেজ পাম্পিং স্টেশন থেকে জমা জল পাম্প করে খালে ফেলা হলেও তা এলাকায় ফিরে আসছে। এটাই চিন্তা পুর কর্তৃপক্ষের। মঙ্গলবার বিধায়ক তাপস রায়কে নিয়ে খালের পরিস্থিতি খতিয়ে দেখেন সেচমন্ত্রী পার্থ ভৌমিক। তাঁর কথায়, “খালের পলি তোলা শুরু হয়েছে। শেষ হলে অনেকটা সুরাহা হবে।” দখলদারির বিষয়ে তাঁর বক্তব্য, “মেট্রো কাজের সময়ে আবর্জনা খালের উপরে ফেলেছে, তাই জলের গতি ব্যাহত হচ্ছে। কয়েকটি জায়গায় বসতি রয়েছে। পুরসভাকে পুনর্বাসনের ব্যবস্থা করতে বলা হয়েছে, যাতে খাল সংস্কারের জায়গা পাওয়া যায়।” কামারহাটির ১৬ নম্বর ওয়ার্ড পর্যন্ত রয়েছে দাঁতিয়া খাল। সেখান থেকে শুরু আপার বাগজোলা। ইতিমধ্যে কামারহাটিতে পলি তোলার কাজ শুরু হয়েছে।

বরাহনগরে মৎস্যজীবী কলোনিতে দখলদারির কারণে খালের কিছু জায়গায় পাড় ধসে গিয়েছে। কিছু ওয়ার্ডে খালের মাঝামাঝি পর্যন্ত চলে গিয়েছে দখলদারি। জানুয়ারি থেকে সেপ্টেম্বরের গোড়া পর্যন্ত বরাহনগরে ডেঙ্গিতে আক্রান্ত হন ২৪ জন। শুধু ৩৬তম সপ্তাহে (১ থেকে ৭ সেপ্টেম্বর) আক্রান্ত ১০ জন। খাল সংলগ্ন ১, ১৪, ১৭ ও ১৯ নম্বর ওয়ার্ডেই আক্রান্ত বেশি। পুর ভাইস চেয়ারম্যান দিলীপনারায়ণ বসু বললেন, “ডেঙ্গির মরসুমে খাল চিন্তার কারণ। পাড় দখলমুক্ত করতে আবেদন জানাব।” খালের গতি বাধা পাওয়ায় ১, ১৪, ১৫, ১৬, ১৭, ১৮, ১৯ (আংশিক), ২০, ২১, ২২ (আংশিক) নম্বর ওয়ার্ডে জল জমছে। চেয়ারম্যান পারিষদ (জঞ্জাল অপসারণ) অঞ্জন পালের কথায়, “মূল সমস্যা, খালে আবর্জনা পড়ছে। জমা জলে মশা জন্মাচ্ছে। এলাকা জলমগ্ন থাকছে। সচেতনতাও প্রয়োজন।”

Advertisement

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement