জল-যন্ত্রণা: জল জমার জেরে শনিবারও চলল মানুষের ভোগান্তি। বেহালার পর্ণশ্রীতে। ছবি:অরুণ লোধ
এমনিতেই বৃষ্টিতে নাজেহাল অবস্থা। তার উপরে এক এলাকার পাম্পের জল অন্য এলাকা ভাসিয়ে দেওয়ায় রীতিমতো মারপিট বেধে যায় মহেশতলার ১৩ ও ১৪ নম্বর ওয়ার্ডের বাসিন্দাদের সঙ্গে বেহালার ১২৯ নম্বর ওয়ার্ডের বাসিন্দাদের। কলকাতা পুরসভা সূত্রের খবর, বেহালার ১২৭, ১২৯, ১৩১-সহ একাধিক ওয়ার্ডের জল আক্রা ফটক পাম্পিং স্টেশনের মাধ্যমে বেগোর খালে ফেলা হয়। ওই সমস্ত এলাকা এমনিতেই নিচু। তাই বৃষ্টি হলেই জল জমে। শুক্রবার রাত থেকে জমা জলের পরিমাণ বাড়তেই পাম্প চালিয়ে সেই জল ফেলা হয় আক্রা ফটক পাম্পিং স্টেশনের খালে। কিন্তু ওই স্টেশনের পাম্প না চলায় খাল উপচে জল তাঁদের এলাকা ভাসিয়ে দেয় বলে অভিযোগ মহেশতলার বাসিন্দাদের। এর পরেই তাঁরা দলবল নিয়ে ১২৯ নম্বর ওয়ার্ডে এসে মারপিট শুরু করেন বলে অভিযোগ। কলকাতা পুরসভার ১২৯ নম্বর ওয়ার্ডের প্রাক্তন কাউন্সিলর অঞ্জন দাস জানান, পরিস্থিতি খারাপ হতেই মহেশতলার লোকজনকে নিয়ে আক্রা ফটক পাম্পিং স্টেশনে যাওয়া হয়। সেখানে গিয়ে জানা যায়, পাম্পিং স্টেশন বন্ধ থাকাতেই ওই সমস্যা। কেন তা চালু ছিল না, তা নিয়ে ক্ষোভ বাড়ে স্থানীয় মহলে। এক দিকে বৃষ্টির কারণে ওই এলাকার বিভিন্ন অংশ ছিল জলমগ্ন। বাড়ির ভিতরেও ঢুকে গিয়েছিল জল। একই অবস্থা হয় মহেশতলার দু’টি ওয়ার্ড এলাকাতেও। তার মধ্যে পাম্পিং স্টেশনে কেন পাম্প চালানো হয়নি, তা নিয়ে শুরু হয় তুমুল হইচই। মারপিটের কারণে কলকাতা পুরসভার দুই কর্মীও জখম হন।
খবর পেয়ে সেখানে পৌঁছন মেয়র ফিরহাদ হাকিম। তাঁর নির্দেশে পাম্প চালানো শুরু হয়। পরে অঞ্জনবাবু জানান, আক্রা ফটক পাম্পিং স্টেশনটি কলকাতা পুরসভা ও মহেশতলার কয়েকটি এলাকার জল বার করার কাজে লাগে। ওই পাম্পিং স্টেশনটি সেচ দফতরের হাত থেকে যাতে কলকাতা পুরসভার হাতে যায়, তার জন্য মেয়রের কাছে আবেদন জানানো হয়েছে। এ ব্যাপারে সেচ দফতরকে চিঠি দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে পুর প্রশাসন।