‘সচেতন না হলে আগুন লাগবেই’

মানুষের সহযোগিতা না থাকলে আগুন লাগার প্রবণতা কমানো যে কঠিন, মনে করালেন খোদ দমকলমন্ত্রী শোভন চট্টোপাধ্যায়। শুধু আইন দিয়ে বা কমিটি গড়ে তার মোকাবিলা করা যে সম্ভব নয়, তা জানাতে কসুর করেননি তিনি।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ০২ মার্চ ২০১৭ ০১:১০
Share:

মানুষের সহযোগিতা না থাকলে আগুন লাগার প্রবণতা কমানো যে কঠিন, মনে করালেন খোদ দমকলমন্ত্রী শোভন চট্টোপাধ্যায়। শুধু আইন দিয়ে বা কমিটি গড়ে তার মোকাবিলা করা যে সম্ভব নয়, তা জানাতে কসুর করেননি তিনি। তাঁর সাফ কথা, ‘‘আমি দমকলের মন্ত্রী হতে পারি, কিন্তু বলতে পারব না যে শহরে আগুন লাগা বন্ধ করে দেব।’’ মানুষকেও সচেতন হতে হবে। কী করলে অগ্নিকাণ্ডের মতো ঘটনা রোখা যেতে পারে, খেয়াল রাখতে হবে। না হলে সমস্যা থেকেই যাবে বলে মনে করেন দমকলমন্ত্রী।

Advertisement

বড়বাজারের আগুন নেভাতে গিয়ে চরম অসুবিধায় পড়েছে দমকল। জতুগৃহ হয়ে থাকা ওই বাড়িতে দমকলের গাড়ি ঢোকার জায়গাই ছিল না। যা শুনে অসন্তোষ বেরিয়ে এসেছে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বক্তব্যে। সরকার মানুষের পাশে থাকলেও এ সব বরদাস্ত করা হবে না, জানিয়ে দেন মমতা।

বুধবার শোভনবাবু সেই কথারই রেশ তুলে ধরে বলেন, ‘‘বড়বাজার বা নোনাডাঙা, সর্বত্রই দমকলের গাড়ি ঢুকতে বেগ পেয়েছে। এলাকাবাসীদের সচেতন থাকতে হবে।’’ তাঁর বক্তব্য, কেউ সে সবের তোয়াক্কা না করেই রাস্তা জুড়ে ত্রিপল খাটিয়ে, ঝুপড়ি করে বসে পড়ছে। সরকার কাউকে উচ্ছেদ করতে চায় না। কিন্তু বিপদের ঝুঁকি যাতে না বাড়ে, দেখা দরকার বাসিন্দাদেরও। মেয়র বলেন, ‘‘সমাধানের পথ বার করতে খুব শীঘ্রই এ সব নিয়ে বিশদে আলোচনা করবে সরকার।’’ আগে অনেক আগুনের প্রেক্ষিতে একাধিক কমিটি গড়া হলেও সমস্যা মেটেনি। এ বার স্থায়ী সমাধানের পথ বার করতে চায় দমকল, আভাষ দেন মেয়র। বড়বাজারের ওই পরিস্থিতি মাথায় রেখে এ দিনই ৯০ লক্ষ টাকার একটি যন্ত্র কেনার নির্দেশ দেন তিনি। বলেন, ‘‘অগ্নিকাণ্ড বন্ধ করে দেব এমন বলা যায় না, তবে মানুষের আতঙ্ক কমাতে চেষ্টা করবে সরকার।’’

Advertisement

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement