এক নাবালিকাকে যৌন নিগ্রহের অপরাধে মহম্মদ নৌশাদ নামে এক ব্যক্তিকে পাঁচ বছর কারাদণ্ড দিল শিয়ালদহ আদালত। বৃহস্পতিবার প্রথম জেলা ও দায়রা বিচারক জীমূতবাহন বিশ্বাস নির্দেশ দিয়েছেন, কারাদণ্ডের পাশাপাশি ৫০ হাজার টাকা জরিমানা দিতে হবে নৌশাদকে। তার ৯০ শতাংশ টাকা ক্ষতিপূরণ হিসেবে পাবে নির্যাতিতা কিশোরী। জরিমানা না দিলে আরও ৬ মাস জেলে থাকতে হবে নৌশাদকে। সে ক্ষেত্রে সরকারি কোষাগার থেকে নির্যাতিতাকে তার প্রাপ্য ক্ষতিপূরণ দিতে হবে।
মামলার সরকারি কৌঁসুলি নিবাসরঞ্জন দত্তচৌধুরী জানান, গত বছরের ৭ অগস্ট এন্টালির বাসিন্দা ১১ বছর বয়সী ওই কিশোরী স্কুল থেকে ফেরার পথে নৌশাদ তাকে ভুলিয়ে বিবিবাগান লেনে নিজের ফাঁকা ফ্ল্যাটে নিয়ে যায়। সেখানেই তার উপরে নির্যাতন চালায় সে। কিশোরী চিৎকার করলে নৌশাদ পালিয়ে গিয়েছিল। মেয়েটির মা ঘটনা জেনে এন্টালি থানায় অভিযোগ করেন। তার পরেই ওই নাবালিকার গোপন জবানবন্দি নথিভুক্ত করে আদালত এবং তার ডাক্তারি পরীক্ষাও করানো হয়।
পুলিশ সূত্রের খবর, অভিযোগ দায়ের হওয়ার পরে গ্রেফতার করা হয় নৌশাদকে। তদন্ত শেষ করে ৩০ সেপ্টেম্বর আদালতে চার্জশিট দেন তদন্তকারী অফিসার। ৫ সেপ্টেম্বর মামলার চার্জ গঠন হয়েছিল। সেই থেকে জেলেই ছিল নৌশাদ। প্রসঙ্গত, যৌন নিগ্রহের মতো নানা গুরুত্বপূর্ণ মামলার বিচারের দীর্ঘসূত্রিতা নিয়ে বহু অভিযোগ রয়েছে নাগরিকদের। অনেক ক্ষেত্রে সময় মতো অপরাধীরা সাজা পায় না বলেও অভিযোগ। একাধিক নিম্ন আদালতে মামলার পাহাড় জমে রয়েছে বলেও খবর। সেখানে অভিযোগ দায়ের হওয়ার মাত্র পাঁচ মাসের মধ্যে বিচার শেষ করে অভিযুক্তকে সাজা দেওয়ার ঘটনা তাৎপর্যপূর্ণ ও বিরল দৃষ্টান্ত বলেই মনে করছেন আইনজীবীদের বড় অংশ।