কলকাতা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল। ফাইল চিত্র।
ডেঙ্গিতে আক্রান্ত বছর চুয়াল্লিশের ব্যক্তির জ্বর কমলেও গোটা শরীর অসাড় হয়ে গিয়েছিল। রোগীর অচেতন পরিমাপক যন্ত্র, গ্লাসগো কোমা স্কেলে মাত্রা ছিল তিন! দীর্ঘ দিন ভর্তি সেই রোগীকে সুস্থ করল কলকাতা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল।
উত্তর ২৪ পরগনার গাড়ুলিয়ার বাসিন্দা ডেঙ্গি আক্রান্ত পিন্টু রজকের ব্যারাকপুরের বিএন বসু মহকুমা হাসপাতালে চিকিৎসা চলছিল। সেখানেই পিন্টু পক্ষাঘাতে আক্রান্ত হলে তাঁকে কলকাতা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে স্থানান্তরিত করা হয়। সেখানকার মেডিসিনের চিকিৎসকেরা জানাচ্ছেন, পিন্টুর শ্বাসকষ্ট ছিল। ভর্তির সময়ে পুরো অচেতন ছিলেন। সিটি স্ক্যান ও স্নায়ুর পরীক্ষায় ধরা পড়ে ‘পোস্ট ডেঙ্গি অ্যাকিউট ডিসেমিনেটেড এনসেফ্যালোমায়লাইটিস অ্যান্ড গুইয়ান ব্যারি সিন্ড্রোম’-এ তিনি আক্রান্ত। মেডিসিনের শিক্ষক-চিকিৎসক রাজা ভট্টাচার্য বলেন, ‘‘ডেঙ্গির পরে ইমিউনোলজিক্যাল অ্যাক্টিভিটি মারাত্মক বাড়ায় মস্তিষ্কে প্রদাহ হয়। মেরুদণ্ডের আশপাশের স্নায়ুও ক্ষতিগ্রস্ত হয়। তাতেই এমন সমস্যা।’’ চিকিৎসকেরা জানাচ্ছেন, এখন রোগী নিজেই খেতে, কথা বলতে, দাঁড়াতে ও হাঁটতে পারছেন।