পার্থ চট্টোপাধ্যায়। —ফাইল চিত্র।
গত দেড় বছর ধরে জেলে রয়েছেন রাজ্যের প্রাক্তন মন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়। বার বার খারিজ হয়েছে তাঁর জামিনের আবেদন। বুধবার আবার শর্তসাপেক্ষে জামিনের আবেদন করলেন নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় ধৃত পার্থ। আইনজীবীর মাধ্যমে তাঁর আবেদন, জেলে ভাল ভাবে চিকিৎসা হচ্ছে না। বাড়িতে থেকে চিকিৎসা করাতে চান তিনি।
বেশ কিছু শারীরিক সমস্যা রয়েছে পার্থের। জেলে থাকাকালীনও অসুস্থ হয়েছেন একাধিক বার। তাঁর নিয়মিত রক্তপরীক্ষা করার জন্য পরামর্শ দিয়েছে মেডিক্যাল বোর্ড। কিন্তু গত ন’মাসে তাঁর রক্তপরীক্ষা হয়নি বলে অভিযোগ। আইনজীবীর মাধ্যমে পার্থ জানান, জেলে থেকে তাঁর চিকিৎসা হচ্ছে না। যে ভাবে চিকিৎসা হওয়া দরকার, সেটাও হচ্ছে না। দিনের পর দিন বিনা চিকিৎসায় রয়েছেন তিনি। একই সঙ্গে অভিযোগও করেছেন রাজ্যের প্রাক্তন মন্ত্রী। তিনি দাবি করেছেন, তাঁকে হেফাজতে রাখা হয়েছে। কিন্তু কোনও তদন্ত হচ্ছে না। পার্থ তাঁর আইনজীবীর মাধ্যমে বলেন, ‘‘তদন্তে সাহায্য করিনি, এ রকম কোনও রিপোর্ট নেই।’’
বুধবার পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের আইনজীবী জানান, “আমার মক্কেলের জয়েন্টে সমস্যা। হাই সুগার। কিডনির সমস্যা দীর্ঘ দিনের। মেডিক্যাল বোর্ডের পরামর্শ ছিল নিয়মিত রক্তপরীক্ষা করার। গত ন’মাসে সেটা হয়নি। জেলে চিকিৎসা হচ্ছে না।’’ আরও এক বার জামিনের আবেদন জানিয়েছেন বলে জানান পার্থের আইনজীবী। তিনি বলেন, “আমার মক্কেলের বাড়ি নেতাজিনগর থানা এলাকায়। অর্থাৎ, এই আদালতের এলাকার মধ্যেই পড়ে। তাই যে কোনও শর্তে তাঁকে জামিন দেওয়া হোক।’’
শিক্ষক নিয়োগ মামলায় রাজ্যের প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী পার্থকে দুর্নীতির ‘কিংপিন’ বলে দাবি করেছে সিবিআই। আদালতে তারা দাবি করেছে, মিডলম্যানদের সঙ্গে পার্থের সরাসরি যোগ ছিল। আর্থিক লেনদেনও হয়েছে। পার্থের নির্দেশেই এবং তিনি প্রভাব খাটিয়ে অফিসারদের দুর্নীতিতে যুক্ত করেছেন বলেও দাবি করা হয়েছে। উল্লেখ্য, পার্থকে ইডি প্রথমে গ্রেফতার করে। পরে তাঁর জেল হেফাজত হয়। পরবর্তী সময়ে সিবিআই পার্থকে হেফাজতে নেওয়ার আর্জি জানিয়েছিল। সেই মামলায় আবার জেল হেফাজত হয়েছে পার্থের। পাশাপাশি, তাঁর বান্ধবী অর্পিতা মুখোপাধ্যায়ের ফ্ল্যাট থেকে উদ্ধার হয়েছিল কোটি কোটি নগদ টাকা। তিনিও এখন জেলে রয়েছেন।