চেতলায় ভেঙে পড়া বাড়ির অংশ। —নিজস্ব চিত্র।
বিরাটির পর চেতলা। গার্ডেনরিচকাণ্ডের ছায়া ফিরল আবার। রবিবার ভোরবেলা চেতলার একটি পুরনো বাড়ির কার্নিস আচমকা ভেঙে পড়েছে। তাতে নীচে দাঁড়িয়ে থাকা একটি গাড়ি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। তবে হতাহতের কোনও খবর নেই। ঘটনার পর স্থানীয় বাসিন্দাদের মধ্যে আতঙ্ক ছড়িয়েছে।
চেতলার ৮২ নম্বর ওয়ার্ডের পরমহংসদেব রোডের ঘটনা। রবিবার ভোর ৫টা নাগাদ সেখানকার একটি পুরনো বাড়ির কার্নিসের একাংশ ভেঙে পড়ে। তীব্র শব্দ হয়। আশপাশের বাসিন্দারা বাইরে বেরিয়ে আসেন। বাড়িটি পুরনো হলেও পরিত্যক্ত নয়। তাতে লোক থাকেন। ওই বাড়ির নীচেই দাঁড় করানো ছিল একটি চার চাকা গাড়ি। বাড়ির কার্নিস ভেঙে গাড়িটির উপরে পড়েছে বলে স্থানীয় সূত্রে খবর।
ঘটনার পর স্থানীয় বাসিন্দারা প্রশাসনের বিরুদ্ধে ক্ষোভ উগরে দিয়েছেন। তাঁরা জানাচ্ছেন, দীর্ঘ দিন ধরে ওই বাড়িটি জরাজীর্ণ অবস্থায় পড়ে আছে। পুরসভা কোনও পদক্ষেপ করেনি। দিনের অন্য কোনও সময়ে কার্নিস ভেঙে পড়লে প্রাণহানিও ঘটতে পারত।
এলাকার এক বাসিন্দার কথায়, ‘‘আমরা পাশেই থাকি। ভোর ৫টা নাগাদ তীব্র শব্দ পাই। আতঙ্কে বাইরে বেরিয়ে আসি। খুব ভয় পেয়েছিলাম। দেখলাম, ওই বাড়ির কার্নিস ভেঙে রাস্তায় পড়েছে। এই রাস্তা দিয়ে অনেক লোকজন যাতায়াত করেন। ভোরবেলায় রাস্তা ফাঁকা ছিল বলে কারও কিছু হয়নি। তবে দিনের অন্য সময়ে হলে আরও বড় দুর্ঘটনা ঘটতে পারত।’’ কলকাতা পুরসভার একটি দল চেতলায় দুর্ঘটনাস্থলে যেতে পারে।
শনিবার রাতেই অনুরূপ দুর্ঘটনা ঘটে গিয়েছে উত্তর দমদম পুরসভা এলাকার বিরাটিতে। সেখানে একটি নির্মীয়মাণ বাড়ির ইট ভেঙে পড়ে পাশের বাড়ির মহিলার মৃত্যু হয়েছে। তিনি ওই বাড়ির নীচে দাঁড়িয়ে ফোনে কথা বলছিলেন। সংশ্লিষ্ট প্রোমোটারের বিরুদ্ধে মৃতার স্বামী থানায় অভিযোগ দায়ের করেছেন। এর আগে গার্ডেনরিচে বড়সড় দুর্ঘটনা ঘটে গিয়েছে। নির্মীয়মাণ বাড়ি ভেঙে মৃত্যু হয়েছে ১২ জনের। বেআইনি ভাবে ওই বহুতল নির্মাণ করা হচ্ছিল বলে স্বীকার করে নিয়েছেন পুরমন্ত্রী ফিরহাদ হাকিমও। যিনি ঘটনাচক্রে ওই এলাকার বিধায়কও বটে। রবিবারের ঘটনাটি ঘটল বলতে গেলে ফিরহাদের পাড়ায়।