নিজস্ব চিত্র।
কলিন স্ট্রিটের বাসিন্দা মহম্মদ বশির আলম লোয়ার রেঞ্জ রোড ধরে কাজে যাচ্ছিলেন নিউটাউন। ১৩ নম্বর লোয়ার রেঞ্জের কাছে পৌঁছতেই আচমকাই কান ফাটানো গুলির আওয়াজ পান। একটি গুলি এসে লাগে তাঁর পিঠে। দিগ্বিদিক জ্ঞানশূন্য হয়ে বাইক নিয়ে বশির ছোটেন। পার্ক সার্কাস মোড়ে পুলিশ দেখতে পেয়ে দাঁড় করান বাইক। পিঠ থেকে রক্ত ঝরছে। অবস্থা দেখে মুহূর্তে ভিড় জমে যায়। পুলিশ তড়িঘড়ি বশিরকে নিয়ে যায় ন্যাশনাল মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে। সেখানে প্রাথমিক চিকিৎসার পর তাঁকে এসএসকেএমের ট্রমা কেয়ারে পাঠানো হয়। হাসপাতাল সূত্রে খবর, বশির বিপন্মুক্ত।
শুক্রবার দুপুরে পার্ক সার্কাস এলাকায় কলকাতা পুলিশের সশস্ত্র বাহিনীর কনস্টেবল চোডুপ লেপচার এলোপাথাড়ি গুলিতে মৃত্যু হয় হাওড়ার দাশনগরের বাসিন্দা রিমা সিংহের। আহত হন আরও দু’জন। ন্যাশনাল মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে মহিলা ও পুলিশকর্মী চোডুপকে মৃত বলে ঘোষণা করেন চিকিৎসকেরা। জরুরি বিভাগে প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়ার পর আরও দু’জন আহতকে এসএসকেএম হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়।
বশির আলম।
হাসপাতাল সূত্রে খবর, এলোপাথাড়ি গুলি চালনার ঘটনায় আলিমুদ্দিন স্ট্রিটের বাসিন্দা মহম্মদ সরফরাজ ও কলিন স্ট্রিটের বাসিন্দা বশির আলম নামে দু’জন আহত হয়েছেন। তাঁদের মধ্যে বশিরের পিঠে গুলি বিঁধে রয়েছে। অন্য জনের আঘাত তেমন গুরুতর নয় বলে জানা যাচ্ছে। ন্যাশনাল মেডিক্যালের জরুরি বিভাগে তাঁদের প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়া হয়। তার পরই কলকাতা পুলিশের অ্যাম্বুলেন্স তাঁদের নিয়ে রওনা হয় এসএসকেএম হাসপাতালের ট্রমা কেয়ারের দিকে। সেখানেই আপাতত তাঁদের চিকিৎসা হবে।