Parents Demand

স্কুলে বাড়াতে হবে সিসি ক্যামেরার সংখ্যা, দাবি অভিভাবকদের

গত বুধবার উত্তর কলকাতার এক স্কুলে ক্লাস চলাকালীন এক নাবালিকাকে যৌন হেনস্থা করা হয় বলে অভিযোগ। যা নিয়ে বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা থেকেই স্কুলের সামনে অভিভাবকদের বিক্ষোভ শুরু হয়।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ২২ মার্চ ২০২৫ ০৯:৪২
Share:
শৌচালয়ের সামনেও সিসি ক্যামেরালাগানোর দাবি।

শৌচালয়ের সামনেও সিসি ক্যামেরালাগানোর দাবি। —প্রতীকী চিত্র।

স্কুলে সিসি ক্যামেরার সংখ্যা বাড়াতে হবে। শৌচালয়ের দরজার সামনেও সিসি ক্যামেরা বসাতে হবে। স্কুলে ছোটদের দেখাশোনার জন্য এক জন মাত্র আয়া আছেন। আয়ার সংখ্যাও বাড়াতে হবে। স্কুলে ক্লাস চলাকালীন পুরুষ মিস্ত্রিদের দিয়ে কাজ করানো যাবে না। শুক্রবার সকালে স্কুল কর্তৃপক্ষের সঙ্গে বৈঠকে এমনই সব দাবি জানালেন অভিভাবকেরা।

Advertisement

গত বুধবার উত্তর কলকাতার ওই স্কুলে ক্লাস চলাকালীন এক নাবালিকাকে যৌন হেনস্থা করা হয় বলে অভিযোগ। যা নিয়ে বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা থেকেই স্কুলের সামনে অভিভাবকদের বিক্ষোভ শুরু হয়। ঘটনাস্থলে আসে পুলিশ। শুক্রবার দুপুরে অভিভাবকদের সঙ্গে স্কুল কর্তৃপক্ষ বৈঠকে বসেন। বৈঠক শেষে অভিভাবকেরা জানান, স্কুল কর্তৃপক্ষকে তাঁরা জানিয়েছেন, স্কুলে সিসি ক্যামেরা থাকলেও তা পর্যাপ্ত নয়। তাঁদের দাবি, শৌচালয়ের সামনেও সিসি ক্যামেরা লাগাতে হবে। শৌচালয়ে আলো নেই। সেখানে আলো লাগাতে হবে।

তাঁদের আরও বক্তব্য, এত বড় স্কুলে মাত্র এক জন আয়া আছেন। ছোট ছোট পড়ুয়াদের শৌচালয়ে নিয়ে যাওয়ার কেউ থাকে না। তাই আয়ার সংখ্যা বাড়াতে হবে। অতিরিক্ত আয়া নিযুক্ত হলে সেই বাড়তি খরচ প্রয়োজনে অভিভাবকেরাও দেবেন। অভিভাবকদের বক্তব্য, তাঁদের দাবিগুলি স্কুল কর্তৃপক্ষ মেনেছেন। তবে, এখনও পর্যন্ত তাঁদের তরফে লিখিত প্রতিশ্রুতি মেলেনি। যত দিন পর্যন্ত লিখিত প্রতিশ্রুতি পাওয়া না যাচ্ছে এবং দাবি অনুযায়ী কাজ শুরু না হচ্ছে, তত দিন তাঁরা পড়ুয়াদের স্কুলে পাঠাবেন না। যদিও স্কুল কর্তৃপক্ষ জানান, সোমবার থেকেই পঠনপাঠন শুরু হবে। কিছু অভিভাবক সোমবার থেকেই স্কুলে ছেলেমেয়েদের পাঠাবেন বলে জানান।

Advertisement

এ দিন ওই স্কুলে যান শিক্ষা দফতরের তিন আধিকারিক। তাঁদেরই এক জন বলেন, ‘‘অভিযোগের ভিত্তিতে তদন্ত করছে পুলিশ। তবে, স্কুল চলাকালীন সেখানে মেরামতির কাজ চালানো উচিত হয়নি। যদি একান্তই জরুরি ভিত্তিতে কাজ করাতে হয়, তা হলে কাজের জায়গায় স্কুলের দু’জন প্রতিনিধিকে রাখা উচিত ছিল। সেই সঙ্গে যাঁরা কাজ করছেন, তাঁদের আধার কার্ড-সহ বিস্তারিত তথ্য থানায় জমা রাখতে হত। এই কথাগুলো স্কুল কর্তৃপক্ষকে বলেছি।’’

স্কুলের প্রধান শিক্ষিকা বলেন, ‘‘আমরা মেরামতির কাজ এখন পুরোপুরি বন্ধ করে দিয়েছি। শনিবার স্কুলের ম্যানেজিং কমিটির সঙ্গে বৈঠক আছে। তার পরে কী সিদ্ধান্ত হল, অভিভাবকদের জানাব। তাঁদের সঙ্গে শুক্রবার বৈঠকে বসেছিলাম। প্রয়োজনে আবার বসব। ওঁদের দাবিগুলি শুনেছি। স্কুলে ইতিমধ্যেই ১৪টি সিসি ক্যামেরা আছে। প্রয়োজনে আরও ক্যামেরা বসানো হবে।’’ পুলিশ জানিয়েছে, অভিযোগের ভিত্তিতে তদন্ত চলছে। এখনও পর্যন্ত এই ঘটনায় কেউ গ্রেফতার হয়নি।

এ দিকে, এই ঘটনায় উত্তর কলকাতা জেলা কংগ্রেসের ডাকে এ দিন দলের নেতা-কর্মীরা মিছিল করার পাশাপাশি সংশ্লিষ্ট থানায় দাবিপত্র জমা দেন। কংগ্রেসের জেলা সভাপতি রানা রায়চৌধুরী, প্রদেশ কংগ্রেস নেতা সুমন রায়চৌধুরী, স্বরূপ বসু, তাপস সিংহ প্রমুখ বিক্ষোভ কর্মসূচিতে যোগ দিয়েছিলেন।

সুমনের অভিযোগ, “মহিলা মুখ্যমন্ত্রীর রাজ্যে সব চেয়ে বেশি আক্রান্ত মহিলা ও শিশুকন্যারাই। ক্ষমতায় টিকে থাকতে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সব অন্যায় দেখেও মুখ ঘুরিয়ে নেন।” এ দিন বিক্ষোভে যোগ দেন অভিভাবকদের একাংশও।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement