এ ভাবেই রাস্তার ধারে ফেলে দেওয়া হয়েছে মেডিক্যাল বর্জ্য। নিজস্ব চিত্র।
রাস্তার উপর ব্যবহৃত পিপিই, গ্লাভস মাস্ক-সহ বিভিন্ন চিকিৎসা বর্জ্য ফেলে দিয়ে গেল কেউ। আর তা ঘিরে আতঙ্ক তৈরি হল কলকাতা পুরসভার ৯২ নম্বর ওয়ার্ডে, জীবনানন্দ সেতু সংলগ্ন এলাকার বাসিন্দাদের মধ্যে। গত এপ্রিল মাসেও ঠিক একই ভাবে কেউ রাস্তার উপর এ ভাবে ব্যবহৃত পিপিই ফেলে দিয়ে গিয়েছিল। সেই ঘটনার কিনারা হয় নি এখনও। সংক্রমণের আতঙ্কে ভুগছেন বাসিন্দারা।
স্থানীয় বাসিন্দারা জানিয়েছেন, জীবনানন্দ সেতুর পূর্ব দিকের ঢালে অর্থাৎ বাইপাসের দিকে, শনিবার সকালে পর পর চার জায়গায় রাস্তার ধারে ব্যবহৃত পিপিই-সহ বিভিন্ন ধরনের চিকিৎসা বর্জ্য দেখতে পান বাসিন্দারা। স্বপন চন্দ নামে এক বাসিন্দা বলেন, ‘‘সকাল ৮টা নাগাদ পিপিইগুলো দেখতে পাই আমরা।” অভিযোগ, ব্যবহৃত পিপিই, গ্লাভস, মাস্ক ছাড়াও বস্তাবন্দি করে ফেলা হয়েছে বিভিন্ন ধরনের বর্জ্য। একটি সবুজ রঙের ড্রামও ফেলে দিয়ে গিয়েছে কেউ।
ওই এলাকাটি কলকাতা পুলিশের গরফা থানার আওতাধীন। স্থানীয় বাসিন্দাদের পক্ষ থেকে গরফা থানায় জানানো হয়। কিন্তু সেখানে গত কয়েকমাসে একের পর পুলিশ কর্মী করোনা আক্রান্ত হওয়ায় তাঁরা গোটা বিষয় থেকে দূরে রয়েছেন। ওই এলাকার প্রাক্তন কাউন্সিলর মধুছন্দা দে-কে জানানো হয়েছে। পুরসভাকে জানানো হয়েছে বলে জানিয়েছেন স্থানীয় বাসিন্দারা। মধুছন্দা দে বলেন, ‘‘আমি পুরসভার সংশ্লিষ্ট দফতরে জানানোর জন্য ফোন করেছিলাম। কিন্তু কাউকে ফোনে পাইনি। তাই পুরসভার কন্ট্রোল রুমকে জানিয়েছি। কিন্তু এখনও পুরসভার পক্ষ থেকে কোনও ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি।”
আরও পড়ুন: নিউ আলিপুরে নাবালিকার রহস্যমৃত্যু, পরিবারের আচরণে ‘অসঙ্গতি’
আরও পড়ুন: ‘ওরা বলছে এখানে হবে না, কিন্তু কোথায় হবে কেউ বলছে না’
স্থানীয় বাসিন্দাদের সন্দেহ, আশপাশের কোনও কোভিড হাসপাতাল থেকে ওই সমস্ত চিকিৎসা বর্জ্য অ্যাম্বুল্যান্সে করে এনে ফেলে দিয়ে যাওয়া হয়েছে। কেপিসি মেডিক্যাল কলেজ এবং এম আর বাঙুর হাসপাতাল — দু’টি কোভিড হাসপাতালই ওই জায়গা থেকে বেশ কাছে। স্বপন চন্দ বলেন, ‘‘পুলিশ সিসি ক্যামেরার ফুটেজ খতিয়ে দেখলেই জানতে পারবে কারা ফেলে দিয়ে গিয়েছে। কিন্তু পুলিশ এর আগের ঘটনারই কোনও কিনারা করেনি।” এর আগে ২৬ এপ্রিল সকালে এ রকমই রাস্তার পাশে ব্যবহৃত পিপিই ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকতে দেখেন বাসিন্দারা।