প্রতীকী ছবি।
সল্টলেকের বি জে ব্লকের একটি অতিথিশালায় গুলিবিদ্ধ হয়েছেন লুধিয়ানার বাসিন্দা এক যুবক। রবিবার রাতের ওই ঘটনায় জখম যুবককে সল্টলেকেরই এক বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। তদন্তে নেমে পুলিশ গ্রেফতার করেছে সানি সিংহ ওরফে জগদীপ নামে আর এক যুবককে। গুলিবিদ্ধ যুবকের নাম মনপ্রীত সিংহ। ধৃতকে সোমবার বিধাননগর আদালতে তোলা হলে আট দিনের জন্য পুলিশি হেফাজতে রাখার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। এই ঘটনার পরে প্রশ্ন উঠেছে, সল্টলেকের বিভিন্ন অতিথিশালা এবং সেখানকার বহিরাগতদের সম্পর্কে পুলিশ কি আদৌ ঠিকমতো খোঁজখবর রাখে?
পুলিশ জানায়, রবিবার রাত ১০টার কিছু পরে অতিথিশালার রিসেপশনে বসে থাকা এক কর্মী আচমকা গুলি চালানোর মতো আওয়াজ পান। ওই আওয়াজ যেখান থেকে এসেছিল, সেই ১০৫ নম্বর ঘরে গিয়ে তিনি দেখেন, রক্তাক্ত অবস্থায় পড়ে রয়েছেন মনপ্রীত সিংহ। দ্রুত তাঁকে উদ্ধার করে সল্টলেকের একটি বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। খবর যায় পুলিশের কাছে।
প্রাথমিক তদন্তে পুলিশ জানতে পেরেছে, বি জে ব্লকের ওই অতিথিশালায় গত ১২ অগস্ট ঘর ভাড়া নিয়েছিলেন পঞ্জাবের লুধিয়ানা থেকে আসা আট জন। দু’টি গাড়িতে চড়ে এসেছিলেন তাঁরা। ওই আট জনের মধ্যে পাঁচ জনই পেশায় গাড়িচালক। তাঁদের মধ্যে তিন জন ১৪ অগস্ট পঞ্জাবে ফিরে যান। যিনি গুলিবিদ্ধ হয়েছেন, সেই মনপ্রীত নিজে একটি গাড়ির মালিক এবং চালকও।
প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে পুলিশ জানতে পেরেছে, লুধিয়ানার ওই বাসিন্দাদের কাছে একটি ৯ এমএম পিস্তল ছিল। ধৃত সানি সেই পিস্তলটি নেড়েচেড়ে দেখতে গেলে গুলি ছিটকে গিয়ে মনপ্রীতের পেটে লাগে। যদিও এই তথ্য যাচাই করে দেখা হচ্ছে। পাশাপাশি, ওই পিস্তলের বৈধ নথি আছে কি না, খোঁজ করা হচ্ছে। প্রাথমিক তদন্তে পুলিশ জানতে পেরেছে, পঞ্জাবের ওই বাসিন্দাদের এক আত্মীয়া কলকাতায় এসেছেন। তাঁর খোঁজেই শহরে এসেছিলেন ওই আট জন।
সল্টলেকের বাসিন্দাদের একাংশের দাবি, এলাকার নিরাপত্তার স্বার্থে পুরসভা ও পুলিশ প্রতিটি অতিথিশালার উপরে নজরদারি শুরু করুক। পুলিশের এক কর্তা জানান, অতিথিশালাগুলি সম্পর্কে নিয়মিত খোঁজখবর রাখা হয়। বি জে ব্লকের অতিথিশালাটি সদ্যই চালু হয়েছিল। পুরসভা সূত্রের খবর, ওই অতিথিশালা সম্পর্কে বিশদে তথ্য জানার চেষ্টা চলছে।
বিধাননগরের মেয়র কৃষ্ণা চক্রবর্তীর বক্তব্য, বাসিন্দাদের নিরাপত্তার বিষয়টিকে প্রাধান্য দিতে হবে। অবিলম্বে বিভিন্ন অতিথিশালা সম্পর্কে পুলিশ-প্রশাসনের সঙ্গে আলোচনা করা হবে।