দুর্ঘটনার পরে একটি বাসে ভাঙচুর উত্তেজিত জনতার। ছবি: সংগৃহীত।
তেলেঙ্গাবাগানে বেপরোয়া বাসের ধাক্কায় গুরুতর আহত হলেন এক মহিলা। তাঁকে আরজি কর হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়েছে। স্থানীয়দের অভিযোগ, দু’টি বাসের রেষারেষির জেরেই এই দুর্ঘটনা। এলাকায় বেপরোয়া গতিতে বাস চললেও ট্র্যাফিক পুলিশ কোনও ব্যবস্থা নেয় না বলে অভিযোগ তাঁদের। এই দুর্ঘটনার পরেই রাস্তা আটকে বিক্ষোভ দেখান বাসিন্দাদের কয়েক জন। একটি বাসে ভাঙচুরও চালানো হয়। বিক্ষোভের জেরে ব্যস্ত সময়ে বিধাননগর রোড স্টেশন লাগোয়া এলাকায় যানজটের সৃষ্টি হয়।
স্থানীয় সূত্রে খবর, মঙ্গলবার বাগবাজার থেকে গড়িয়াগামী এবং হাওড়া-বারাসত রুটের একটি বাসের মধ্যে রেষারেষি হচ্ছিল। অভিযোগ, লাল সিগন্যাল থাকা সত্ত্বেও বেপরোয়া গতিতে ছুটে চলা হাওড়া-বারাসত রুটের বাসটি দ্রুত বেগে সামনের দিকে এগিয়ে যায়। সেই সময় রাস্তা পেরোচ্ছিলেন এক মহিলা। তাঁর পায়ে বাসের একটি চাকা উঠে যায়। গুরুতর আহত হন তিনি। তড়িঘড়ি তাঁকে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়।
দুর্ঘটনার পরেই স্থানীয়দের একাংশ জড়ো হয়ে বিক্ষোভ দেখাতে থাকেন। একটি বাসে ভাঙচুর চালানো হয়। বিক্ষোভকারীদের অভিযোগ, ট্র্যাফিক কিয়স্ক থাকলেও নিষ্ক্রিয় থাকে পুলিশ। একাধিক বার সিগন্যাল ভাঙার ঘটনা ঘটলেও পুলিশ কোনও পদক্ষেপ করে না। ঘটনার খবর পেয়েই এলাকায় যান মানিকতলার তৃণমূল বিধায়ক সুপ্তি পাণ্ডে। তিনি বলেন, “বাসের বেপরোয়া গতি ছিল। কেন এমন ঘটনা ঘটল, তা অবশ্যই খতিয়ে দেখা হবে। পুলিশের কোনও নিষ্ক্রিয়তা ছিল কি না, তা-ও দেখা হবে।”