প্রতীকী ছবি।
বেপরোয়া ও মত্ত মোটরবাইক চালকদের ধরতে শহরের বিভিন্ন প্রান্তে নিয়মিত ভাবে চলছে পুলিশি অভিযান। কিন্তু অভিযোগ, সাধারণের মধ্যে তবু সচেতনতা তৈরি হচ্ছে না। তাই হামেশাই ঘটে যাচ্ছে দুর্ঘটনা। রবিবার রাতে যেমনটা ঘটল তপসিয়া থানা এলাকায়। পুলিশ জানিয়েছে, ওই দুর্ঘটনায় জয়দীপ কর্মকার (৩২) নামে এক যুবকের মৃত্যু হয়েছে। তিনি মোটরবাইকের পিছনে বসেছিলেন। বাইকের চালক আকাশ মল্লিককে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। জয়দীপ ও আকাশ— কারও মাথাতেই হেলমেট ছিল না বলে প্রাথমিক তদন্তে জেনেছে পুলিশ। তাঁরা দু’জনেই ছিলেন নেশাগ্রস্ত।
পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, জয়দীপ ও আকাশ একে অপরের বন্ধু। জয়দীপের বাড়ি হুগলির উত্তরপাড়ায়। আকাশের বাড়ি যাদবপুর থানা এলাকার পাটুলিতে। ট্যাংরার কোনও রেস্তরাঁয় পার্টি করে ফেরার পথে ওই দুর্ঘটনা ঘটে। গোবিন্দ খটিক রোড ও বাইপাসের মোড়ে সিগন্যালে দাঁড়িয়ে থাকা একটি গাড়িকে তীব্র গতিতে এসে ধাক্কা মারে তাঁদের মোটরবাইকটি। এক প্রত্যক্ষদর্শী জানিয়েছেন, বাইকটি খুবই জোরে যাচ্ছিল। আকাশদের মোটরবাইকটি রাস্তার ডান দিক দিয়ে যেতে গিয়ে উল্টো দিক থেকে আসা একটি মোটরবাইককে ধাক্কা মারতে গিয়েও কোনও রকমে সামলে নেয়। কিন্তু তার পরেই সামনে দাঁড়িয়ে থাকা একটি গাড়িতে সজোরে ধাক্কা মারে। পুলিশ জানিয়েছে, এলাকার সিসি ক্যামেরার ফুটেজে দেখা গিয়েছে, ধাক্কার তীব্রতা এতটাই বেশি ছিল যে, বাইকের পিছনে বসা জয়দীপ প্রায় আট ফুটের মতো উঁচুতে উঠে ছিটকে পড়েন মাটিতে। অত উঁচু থেকে পড়ায় তিনি মাথায় খুব জোর আঘাত পান। সঙ্গে সঙ্গে স্থানীয় বাসিন্দা ও পুলিশ এসে হাসপাতালে নিয়ে গেলে জয়দীপকে মৃত বলে ঘোষণা করা হয়। আকাশের চোট অবশ্য গুরুতর নয়। তাঁকে প্রাথমিক চিকিৎসার পরে ছেড়ে দেওয়া হলে তপসিয়া থানার পুলিশ গ্রেফতার করে। জয়দীপের উত্তরপাড়ার বাড়িতে খবর পাঠানো হয়েছে।
ট্যাংরায় প্রচুর রেস্তরাঁ ও পানশালা রয়েছে। মত্ত গাড়িচালকদের ধরতে ওই এলাকায় নিয়মিত অভিযান চালানো হয় বলে পুলিশের দাবি। তপসিয়া থানার এক পদস্থ কর্তা দাবি করেন, পুলিশ ওই এলাকা থেকে মত্ত গাড়িচালকদের নিয়মিত ধরছে। তাঁদের মোটা অঙ্কের টাকা জরিমানাও করা হচ্ছে। কিন্তু বেশির ভাগ ক্ষেত্রেই পরিবারের লোকজন কিছু ক্ষণের মধ্যে থানায় এসে জামিনে তাঁদের ছাড়িয়ে নিয়ে যাচ্ছেন।