প্রতীকী ছবি।
হিসেব মতো ট্রান্সফর্মার থেকে যত পরিমাণ বিদ্যুৎ সরবরাহ হওয়ার কথা, এলাকায় ব্যবহার করা হচ্ছে তার চেয়ে অনেক বেশি বিদ্যুৎ। সেই সন্দেহ থেকেই খোঁজখবর নেওয়া শুরু হয়েছিল। আর তাতেই সিইএসসি এবং পুলিশ সন্ধান পেল ওভারহেড লাইন থেকে হুকিংয়ের মাধ্যমে বিদ্যুৎ চুরি করে বিক্রি করার একটি চক্রের। লালবাজার সূত্রের খবর, এই অভিযোগে গত বৃহস্পতিবার এক জনকে গ্রেফতার করেছে মেটিয়াবুরুজ থানা। ধৃতের নাম মহম্মদ শাহবাজ ওরফে সোনু। তার বাড়ি মেটিয়াবুরুজের মসজিদ তলাব রোডে। অভিযুক্তকে আলিপুরের বিশেষ আদালতে তোলা হলে আগামী কাল, মঙ্গলবার পর্যন্ত পুলিশি হেফাজতে রাখার নির্দেশ দিয়েছেন বিচারক।
পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, গার্ডেনরিচ ও মেটিয়াবুরুজ এলাকায় সিইএসসির ওভারহেড তার থেকে বিদ্যুৎ চুরি করে স্থানীয় বাসিন্দা এবং হকারদের সংযোগ দিয়ে টাকা আদায় করত ধৃত সোনু। অভিযোগ, এই
চক্রটি রীতিমতো ব্যবসা ফেঁদে বসেছিল ওই এলাকায়। সিইএসসির বিদ্যুতের দাম না মিটিয়ে স্থানীয়দের থেকে বিল বাবদ মাসে ৪০০-৫০০ টাকা আদায় করত তারা। এক পুলিশ অফিসার জানান, ওই দুই এলাকার অলিগলিতে এবং জনবহুল অঞ্চলগুলিতে চুরি করা এই বিদ্যুতেই চলছে বাড়ির কাজ, দোকান এবং এমব্রয়ডারির ব্যবসা।
তদন্তকারীরা আরও জানাচ্ছেন, সিইএসসি-র হিসেব অনুযায়ী, এই ভাবে বিদ্যুৎ চুরি করায় গত কয়েক বছরে তাদের লক্ষাধিক টাকার ক্ষতি হয়েছে। তদন্তে নেমে এই চক্রে জড়িতদের মধ্যে সোনু ছাড়া আরও এক জন দুষ্কৃতীরও নাম পেয়েছেন তদন্তকারীরা। তবে সিইএসসি-র তরফে অভিযোগ দায়ের হওয়ার পর থেকেই সিমরোজ নামে ওই দুষ্কৃতী পলাতক। সোনু এবং সিমরোজ— এই দু’জনের নামেই মেটিয়াবুরুজ থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছিল সিইএসসি।
উল্লেখ্য, বন্দর এলাকার গার্ডেনরিচ, মেটিয়াবুরুজের মতো বিভিন্ন এলাকায় সিইএসসির ‘রক্ষাকবচ’ উপেক্ষা করে ওভারহেড তার বা কেব্লের লাইন কেটে বিদ্যুৎ চুরি করে তা বাড়ি বাড়ি বিক্রি করার অভিযোগ দীর্ঘদিনের। পুলিশ জানিয়েছে, এই চক্রের বাকি সদস্যদের খোঁজ মিললে ওই এলাকায় বিদ্যুৎ চুরি কিছুটা হলেও আটকানো যাবে।