প্রতারণার অভিযোগে গ্রেফতার এক ব্যক্তি। প্রতীকী ছবি।
লোকের চোখে ধুলো দিতে সাধারণত সন্ধ্যার পরেই তাঁদের সঙ্গে দেখা করত সে। পরনে মহিলাদের পোশাক। গলার স্বরও মহিলাদের মতো। ফোনেও মহিলা-কণ্ঠেই কথা বলত। টোপ দিত জমি কেনার জন্য। সেই টোপ গিলেছিলেন মধ্যমগ্রামের বাসিন্দা এক ব্যক্তি। মহিলার ভেক ধরা পুরুষ প্রতারককে চিনতে না পেরে জমি কেনার আশায় ৫০ হাজার টাকাও দেন তিনি। অভিযোগ, টাকা নেওয়ার পরেই ফোন বন্ধ করে দেয় অভিযুক্ত। শেষ পর্যন্ত বুধবার বিধাননগর পূর্ব থানার পুলিশ তাকে গ্রেফতার করে।
তদন্তকারীরা জানান, অভিযুক্তের নাম অনিন্দ্য চক্রবর্তী। তার যাদবপুরের বাড়ি থেকে তাকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। অভিযোগ, মহিলা সেজে জমি কিনিয়ে দেওয়ার নামে মধ্যমগ্রামের এক বাসিন্দার থেকে ৫০ হাজার টাকা নিয়ে গা-ঢাকা দিয়েছিল অনিন্দ্য। পুলিশ জানায়, অভিযোগকারী জানান, তিনি একটি দৈনিক সংবাদপত্রে জমি কেনার বিজ্ঞাপন দেখেন। তাতে দেওয়া ফোন নম্বরে যোগাযোগ করলে এক মহিলা-কণ্ঠ তাঁর সঙ্গে কথা বলে। তাঁকে সল্টলেকের সিজে ব্লকের এক জায়গায় ডেকে পাঠায়। সেখানে অনিন্দ্যকে অভিযোগকারী ৫০ হাজার টাকা দেন বলে দাবি। অভিযোগকারী পুলিশকে জানিয়েছেন, একটু অন্ধকার এক জায়গায় সন্ধ্যার পরে তাঁকে ডেকে পাঠানো হয়েছিল। তাই অনিন্দ্য যে পুরুষ, তা তিনি বুঝতে পারেননি।
ওই ব্যক্তি বিধাননগর পূর্ব থানায় অভিযোগ দায়ের করলে এক পুলিশ আধিকারিক জমির ক্রেতা সেজে অনিন্দ্যকে ফোন করেন। পুলিশের দাবি, অনিন্দ্য একই ভাবে মহিলা-কণ্ঠে কথা বলে তাঁকে এক জায়গায় ডাকে। সেই সময়েও অনিন্দ্য মহিলাদের পোশাক পরে ছিল। এর পরে সে পুলিশের হাতে ধরা পড়ে যায়।
তদন্তকারীরা জানান, গ্রেফতার করার পরে অনিন্দ্যকে পরীক্ষা করে তার আসল পরিচয় জানা যায়। গ্রেফতারির সময়েও তার পরনে মহিলাদের পোশাক ছিল। সাজগোজও ছিল মহিলাদের মতো। আপাতত তাকে হেফাজতে নিয়ে জেরা করতে চাইছে পুলিশ। সে কত দিন ধরে এই ভাবে লোক ঠকিয়েছে, আরও কেউ তার সঙ্গে আছে কি না, জানতে চাইছে পুলিশ।