চতুর্থীতে উত্তর-দক্ষিণ মেট্রোয় চেপেছেন সাড়ে সাত লক্ষ জন। — ফাইল চিত্র।
প্রতিপদ থেকেই কলকাতায় পুজো দেখা শুরু। আর পুজো দেখতে যাওয়ার অন্যতম মাধ্যম এ বারও মেট্রো। বুধবার, চতুর্থীতে উত্তর-দক্ষিণ মেট্রোয় চেপে যাতায়াত করেছেন প্রায় সাড়ে সাত লক্ষ মানুষ। সব থেকে বেশি যাত্রী যাতায়াত করেছেন দমদম স্টেশন দিয়ে। ভিড়ের নিরিখে রবীন্দ্রসদনকে টেক্কা দিয়েছে কালীঘাট। মঙ্গলবার, তৃতীয়াতেও মেট্রোর যাত্রীসংখ্যা ছিল সাত লক্ষের উপরে।
শেষবেলার কেনাকাটা এখন চলছে পুরোদমে। পাশাপাশি ঠাকুর দেখতেও বেরিয়ে পড়েছে লাখ লাখ মানুষ। সে কারণে বিখ্যাত পুজোমণ্ডপ এলাকাগুলির পাশাপাশি বাজার এলাকাতেও তীব্র ভিড়। আর সেই সংলগ্ন মেট্রো স্টেশনেও তার প্রভাব পড়েছে। চতুর্থীতে ভিড়ের নিরিখে দমদমের পরেই রয়েছে এসপ্ল্যানেড।
মেট্রো সূত্রে খবর, গত এক মাস ধরে মেট্রোয় যাত্রীসংখ্যা বৃদ্ধি পেয়েছে। পুজোর আগে শহরে মেট্রোয় চেপেই কেনাকাটা করেছেন বেশির ভাগ মানুষ। সেই সঙ্গে ছিল নিত্যযাত্রীদের ভিড়। রবিবার, প্রতিপদ থেকে সেই ভিড় ক্রমে বেড়েছে। বুধবার খোলা ছিল স্কুল, কলেজ, অফিস। সে কারণে পুজোর ভিড়ের পাশাপাশি মেট্রোয় ছিল নিত্যযাত্রীদের ভিড়। পরিসংখ্যান বলছে, ১৮ অক্টোবর, চতুর্থীতে উত্তর-দক্ষিণ মেট্রোয় যাতায়াত করেছেন সাত লক্ষ ৪৯ হাজার ১৬০ জন। গোটা দিনে ওই লাইনে মোট ২৮৮টি ট্রেন চলেছে।
চতুর্থীতে সব থেকে বেশি যাত্রী যাতায়াত করেছেন দমদম স্টেশনে। সেখানে যাত্রীসংখ্যা ছিল ৭৬ হাজার ৫৮৭। এর পরেই এসপ্ল্যানেড। সেখানে যাত্রীসংখ্যা ছিল ৫৩ হাজার ২০। তৃতীয় স্থানে ছিল কালীঘাট। সেখানে যাত্রী সংখ্যা ৫২ হাজার ১২০। রবীন্দ্রসদন দিয়ে যাতায়াত করেছেন ৪৫ হাজার ১০৩ জন।
সপ্তমী থেকে নবমী উত্তর-দক্ষিণ লাইনে সারা রাত চলবে মেট্রো। এই তিন দিন পূর্ব-পশ্চিম করিডোরে ট্রেন চলবে রাত ১২টা পর্যন্ত। যাত্রীদের সুরক্ষার জন্য একগুচ্ছ পদক্ষেপও করেছে মেট্রো রেল। দক্ষিণেশ্বর, দমদম, বেলগাছিয়া, শ্যামবাজার, শোভাবাজার-সুতানুটি, মহাত্মা গান্ধী রোড, সেন্ট্রাল, যতীন দাস পার্ক, কালীঘাট, রবীন্দ্র সরোবর, কবি নজরুল, কবি সুভাষ, শিয়ালদহ এবং বেঙ্গল কেমিক্যাল— এই স্টেশনগুলিতে ঠাকুর দেখতে আসা মানুষের ভিড় বেশি হবে ধরে নিয়েই আরও অধিক সংখ্যায় রেল সুরক্ষা কর্মী (আরপিএফ) মোতায়েন করা হচ্ছে। আপৎকালীন পরিস্থিতির মোকাবিলায় থাকছে পাঁচ সদস্যের কুইক রেসপন্স টিম এবং বিপর্যয় মোকাবিলা দল।