Hedua

হেদুয়ার পুলে মৃত্যু প্রৌঢ়ের

ওই প্রৌঢ় কী ভাবে তলিয়ে গেলেন, তা খতিয়ে দেখছে পুলিশ। তাঁর পরিবার সূত্রের খবর, করুণাবাবু বাড়ি থেকে কখন বেরিয়েছেন, তা কেউ জানেন না।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

কলকাতা শেষ আপডেট: ২৩ অগস্ট ২০১৯ ০০:৩১
Share:

এ ভাবেই রেলিং টপকে হেদুয়ার জলে নামেন বহিরাগতেরা। বৃহস্পতিবার। ছবি: স্বাতী চক্রবর্তী

হেদুয়ার সুইমিং পুলে তলিয়ে গিয়ে ফের মৃত্যু হল এক জনের। বৃহস্পতিবার সকালে ওই পুলের জলে সংজ্ঞাহীন অবস্থায় এক প্রৌঢ়কে ভাসতে দেখে পুলিশে খবর দেন প্রাতর্ভ্রমণকারীরা। তাঁকে উদ্ধার করে আর জি করে নিয়ে যাওয়া হলে চিকিৎসকেরা মৃত বলে ঘোষণা করেন। ওই প্রৌঢ়ের নাম করুণা মণ্ডল (৬০)। তিনি গোয়াবাগান স্ট্রিটের বাসিন্দা। ময়না-তদন্তের পরেই মৃত্যুর কারণ সম্পর্কে নিশ্চিত হওয়া যাবে বলে জানিয়েছে পুলিশ। তবে প্রাথমিক তদন্তে পুলিশের অনুমান, জলে ডুবেই মৃত্যু হয়েছে ওই প্রৌঢ়ের।

Advertisement

ওই প্রৌঢ় কী ভাবে তলিয়ে গেলেন, তা খতিয়ে দেখছে পুলিশ। তাঁর পরিবার সূত্রের খবর, করুণাবাবু বাড়ি থেকে কখন বেরিয়েছেন, তা কেউ জানেন না। তবে তাঁর হেদুয়ায় মাছ ধরার নেশা ছিল। ডুব দিয়ে মাছ ধরতেন তিনি।

প্রাতর্ভ্রমণের জন্য খোলার আগে পর্যন্ত হেদুয়া পার্ক বন্ধই থাকে। সে ক্ষেত্রে পাঁচিল টপকে ঢোকা ছাড়া অন্য পথ নেই। আগেও হেদুয়ার পুলে তলিয়ে গিয়ে মৃত্যুর ঘটনা ঘটেছে। গত বছরের জুলাইয়ে পাঁচিল টপকে হেদুয়ার জলে নেমে স্নান করতে গিয়ে মারা যায় দ্বাদশ শ্রেণির ছাত্র মহম্মদ দিলসার। তখনও প্রশ্ন ওঠে, গেট বন্ধ থাকা সত্ত্বেও কী ভাবে সে হেদুয়ার পুলে স্নান করতে নামল? এ বারও সেই প্রশ্ন উঠেছে।

Advertisement

হেদুয়ার ন্যাশনাল সুইমিং অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক সনৎ ঘোষ বলেন, ‘‘গেটে তিন জন নিরাপত্তারক্ষী আছেন। তা সত্ত্বেও বহিরাগতেরা ঢুকছে। পুরসভাকে অনুরোধ করেছি, রেলিংয়ের উপরে কাঁটাতার দিতে।’’ স্থানীয় ২৭ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর মীনাক্ষী গুপ্ত বলেন, ‘‘বারবার এমন ঘটছে। পুরসভার তরফে যথেষ্ট সতর্কতা অবলম্বন করা হয়। ওখানে সাঁতারের যে ক্লাবগুলি রয়েছে, তাদের আরও বেশি সচেতন হওয়া দরকার। নজরদারি ওদের তরফেও বাড়ানো উচিত।’’

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement