প্রতীকী চিত্র।
বন্ধ ঘর থেকে গলগল করে কালো ধোঁয়া বেরোতে দেখেছিলেন প্রতিবেশী এক ব্যক্তি। তিনিই প্রথম পুলিশে খবর দেন। দমকল এবং পুলিশ এসে ঘরের দরজা ভেঙে এক বৃদ্ধা এবং এক যুবককে উদ্ধার করে এসএসকেএম হাসপাতালে নিয়ে যায়। সেখানে বৃদ্ধাকে মৃত ঘোষণা করেন চিকিৎসকেরা। ওই যুবক এসএসকেএমেরই বার্ন ইউনিটে চিকিৎসাধীন।
বৃহস্পতিবার ভোরে আগুন লাগার এই ঘটনাটি ঘটেছে কালীঘাটের পটুয়াপাড়ায়। পুলিশ জানিয়েছে, মৃত বৃদ্ধার নাম বিভা পাল (৭১)। তাঁর স্বামী মারা গিয়েছেন। তাঁর ছেলে অন্যত্র থাকেন। পটুয়াপাড়ায় ভাইপো রাজীব পালের সঙ্গেই একটি ছোট্ট ঘরে থাকতেন বিভাদেবী। স্থানীয়েরা জানান, রাজীব পেশায় এক জন মৃৎশিল্পী। ঘর লাগোয়া তাঁর স্টুডিয়ো। পুলিশ জানিয়েছে, এ দিন ভোর সাড়ে চারটে নাগাদ স্টুডিয়ো লাগোয়া ঘর থেকে কালো ধোঁয়া বেরোতে দেখেন আশপাশের লোকজন। খবর পেয়ে কালীঘাট দমকলকেন্দ্র থেকে চারটি ইঞ্জিন আসে। প্রায় দু’ঘণ্টার চেষ্টায় আগুন আয়ত্তে আনেন দমকলকর্মীরা। রাজীবের দিদি সোনিয়া মিশ্র বলেন, ‘‘আমি গড়িয়ায় শ্বশুরবাড়িতে ছিলাম। ভোর পাঁচটা নাগাদ খুড়তুতো বোনের থেকে ফোনে গোটা ঘটনা জানতে পারি। সঙ্গে সঙ্গে স্বামীকে নিয়ে হাসপাতালে চলে যাই। পরে কালীঘাটে এসে দেখি, আমাদের ঘরটা সম্পূর্ণ পুড়ে গিয়েছে। কোনও রকমে বেঁচে গিয়েছে আমার ভাই।’’
দুপুরে ঘটনাস্থলে এসে নমুনা সংগ্রহ করেন ফরেন্সিক বিশেষজ্ঞেরা। প্রাথমিক ভাবে দমকলের অনুমান, ঘরে থাকা গ্যাস সিলিন্ডার থেকেই আগুন লেগেছে। তবে ওই সিলিন্ডারটি ফেটে গেলে আরও বড় ধরনের বিপদ ঘটতে পারত বলে জানিয়েছে পুলিশ। দমকলের এক কর্তা এ দিন বলেন, ‘‘ফরেন্সিক পরীক্ষার রিপোর্ট এলেই আগুন লাগার কারণ স্পষ্ট হবে।’’