ছ’দিন ভর্তি থাকার পরে মৃত্যু প্রৌঢ়ের

চলন্ত ট্রেন থেকে নামতে গিয়ে গুরুতর জখম হয়েছিলেন বর্ধমানের কাজল পান (৫২)। ছ’দিন চিকিৎসাধীন থাকার পরে শনিবার রাতে প্রৌঢ়ের মৃত্যু হয়।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

কলকাতা শেষ আপডেট: ৩০ ডিসেম্বর ২০১৯ ০২:২৮
Share:

প্রতীকী ছবি

চিকিৎসায় গাফিলতিতে রোগী-মৃত্যুর অভিযোগ উঠল এসএসকেএম হাসপাতালে। চলন্ত ট্রেন থেকে নামতে গিয়ে গুরুতর জখম হয়েছিলেন বর্ধমানের কাজল পান (৫২)। ছ’দিন চিকিৎসাধীন থাকার পরে শনিবার রাতে প্রৌঢ়ের মৃত্যু হয়। মৃতের জামাই সৌম্যেন্দু কুণ্ডুর অভিযোগ, অস্ত্রোপচারের পরে ঠিক মতো যত্ন না নেওয়ায় তাঁর শ্বশুরের মৃত্যু হয়েছে।

Advertisement

গত ২১ ডিসেম্বর হাওড়া থেকে বর্ধমানের খণ্ডঘোষের বাড়িতে ফিরছিলেন কাজলবাবু। তিনি যে ট্রেনে ফিরছিলেন, সেটির বর্ধমান স্টেশনে থামার কথা ছিল না। প্রৌঢ় ভাবেন, তিনি দুর্গাপুরে নেমে যাবেন। কিন্তু সেখানেও ট্রেন না থামায় রাত সাড়ে আটটা নাগাদ ওয়ারিয়া স্টেশনে ঝুঁকি নিয়ে নামতে গিয়ে দুর্ঘটনার শিকার হন কাজলবাবু। সৌম্যেন্দু জানান, চলন্ত ট্রেন থেকে পড়ে তাঁর শ্বশুরমশাইয়ের বাঁ হাত এবং পা মারাত্মক ক্ষতিগ্রস্ত হয়। মাথাতেও গুরুতর চোট লাগে। পরদিন কাজলবাবুকে এসএসকেএমের ট্রমা কেয়ারে ভর্তি করানো হয়। দু’দিন পরে প্রথমে তাঁর মস্তিষ্কের অস্ত্রোপচার হয়। এর পরে ২৫ ডিসেম্বর বাঁ পায়ে অস্ত্রোপচার করেন চিকিৎসকেরা। অস্ত্রোপচারে পা বাদ দিতে হয়। সৌম্যেন্দু জানান, দ্বিতীয় অস্ত্রোপচারের পরে কাজলবাবু স্থিতিশীল ছিলেন। দুর্ঘটনা কী ভাবে ঘটল, ওই সময়ে তাঁর সঙ্গে কথা বলে পরিজনেরা জানতে পারেন।

কিন্তু শনিবার আচমকা রোগীর অবস্থার অবনতি হয়। তাঁকে সিসিইউয়ে পাঠানোর সিদ্ধান্ত নেন চিকিৎসকেরা। সেখানেই কাজলবাবুকে মৃত ঘোষণা করা হয়। সৌম্যেন্দুর অভিযোগ, ‘‘অস্ত্রোপচারের পরে রোগীর যে যত্ন নেওয়া উচিত, তা হয়নি।’’ এসএসকেএমের ফাঁড়িতে এই সংক্রান্ত অভিযোগ দায়ের করেছেন মৃতের পরিজনেরা।

Advertisement

যদিও এসএসকেএম কর্তৃপক্ষের বক্তব্য, ওই রোগীকে বাঁচাতে সব চেষ্টা করা হয়েছিল। গাফিলতির অভিযোগ অনভিপ্রেত।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement